ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাস হামলায় সব হারানো এক পিতার আহাজারি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৮ এপ্রিল ২০১৭

গ্যাস হামলায় সব হারানো  এক পিতার আহাজারি

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার পর স্ত্রী ও যমজ শিশুদের বাড়িতে সুস্থ দেখে প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে যাওয়া এক বাবা তাদেরসহ পরিবারের ২৫ সদস্যকে হারিয়েছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবদুল হামিদ আল ইউসুফের প্রশ্ন, কি দোষ ছিল তার ১০ মাস বয়সী দুই শিশুসন্তান আয়া ও আহমেদের।ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত খান শিখুন শহরে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলার পর বাসিন্দাদের প্রচ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ার সরকারী বাহিনী সেখানে রাসায়নিক গ্যাস (স্যরিন গ্যাস) হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’। নিহতদের মধ্যে ২০টি শিশু রয়েছে। খবর বিবিসির। মঙ্গলবার সকালে খান শিখুন শহরে তিনবার বিমান হামলা চালানো হয়। প্রথমবার বিমান হামলার পর স্ত্রী দালাল ও নয় মাস বয়সী যমজ সন্তান আয়া ও আহমেদকে বাড়িতে রেখে পাশেই বাস করা আত্মীয়দের সাহায্য করতে যান আল ইউসুফ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক সাক্ষাতকারে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আয়া ও আহমেদকে সুস্থই দেখেছিলাম। ‘কেন এটা হলো? আমি ভেবেছিলাম তারা বাড়িতে ঠিক আছে। এখন তারা আর নেই।’ দ্বিতীয়বার হামলার সময় আল ইউসুফের বাড়িতে নার্ভ এজেন্ট ছড়িয়ে পড়ে। আল ইউসুফ বলেন, প্রথমবার বিস্ফোরণের পর প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে রেখে বাইরে যান। তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমি দেখলাম গ্যাস তার কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। প্রচ শ্বাসকষ্টে লোকজন মারা যাচ্ছে। আমি তাদের সাহায্যে এগিয়ে গেলাম। আমি অসুস্থ মানুষদের সরিয়ে নেয়া শুরু করলাম। আমি তাদের রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। রাস্তায় লোকজনকে সাহায্য করতে গিয়ে আমি আর বাড়ি ফিরে যেতে পারিনি।
×