স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর কেন্দ্র করে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব জয়শংকর, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর ও সেনাবাহিনী প্রধানের বাংলাদেশ সফরে নানা জল্পনাকল্পনা সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীয় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারতের গণমাধ্যমের সূত্র ধরে দেশের গণমাধ্যম ও সুধী সমাজের মধ্যে সঞ্চার হয়েছে উদ্বেগ। কথা উঠছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। অথচ বাংলাদেশ সরকার এসব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে জাতিকে স্পষ্ট করে কিছুই বলছে না। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে দেশের জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লী যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ প্রায় অর্ধশত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়সহ এ ঘটনার উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পূর্বেই সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ দাবি তোলার পর পররষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে প্রতিরক্ষাসহ ৩৩ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। তবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের বহু প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তিকে অবজ্ঞা করে বলেছেন তিস্তা চুক্তি হলে বা না হলে কি আসে যায়। তার এই বক্তব্যে গোটা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভের ঝড় বইছে।
রিজভী বলেন, দুই দেশের মধ্যে ৫৪ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্য হিস্যা তো দূরে থাক এসব নদীসমূহের উজানে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আর বাংলাদেশ অংশে এই নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশী নাগরিক খুন হচ্ছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ভারত শুল্ক ও অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া কোন প্রতিরক্ষা চুক্তি এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, দলের নেতা এ বি এম মোশারফ হোসেন, মুনির হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: