ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এডিবির রিপোর্ট

চলতি অর্থবছরে জিডিপি হবে ৬.৯ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৭ এপ্রিল ২০১৭

চলতি অর্থবছরে জিডিপি হবে ৬.৯ শতাংশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৭ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের ৭ দশমিক ১ শতাংশের চেয়ে কম হবে। এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে। এর কারণ হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং রফতানি আয় কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছরের চেয়ে মূল্যস্ফীতিও কমবে বলে এডিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ; যা গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহ, রফতানি আয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়াকে দায়ী করেছে এডিবি। জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগসহ উৎপাদশীলতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডিবির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর চাইলি, প্রিন্সিপাল কানিস্ট্র স্পেশালিস্ট জোসনা ভারমা ও বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দবার। এক প্রশ্নের জবাবে জোসনা ভারমা বলেন, রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সুতরাং এটা আপাতত প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না। স্টাফ কনসালটেন্ট পারভেজ এমদাদ বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রফতানি ও রেমিট্যান্স কমলেও টেকসই প্রবৃদ্ধি হবে। যা নতুন ধারার তৈরি করেছে। যেমন বাংলাদেশে আয় বাড়ছে। যেটি আবার খরচ হচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি করছে, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। কৃষি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষির প্রবৃদ্ধি ওইভাবে কমেনি। কিন্তু জিডিপিতে অবদান কমেছে। কারণ শিল্পসহ অন্যান্য খাত এগিয়ে গেছে। এটি উন্নতশীল অর্থনীতিতে হয়েই থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ অর্থবছরে কৃষি ক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে এটি আরও কিছুটা কমে হবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। শিল্প খাতে ২০১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে ২০১৮ অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে হবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে ২০১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে অপরিবর্তিত থাকবে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে বলা হয়েছে উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এশিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০১৭ অর্থবছরে এশিয়া মহাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি একই থাকবে।
×