ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে দায়িত্ব বুঝে নিলেন রাসিক মেয়র বুলবুল

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৬ এপ্রিল ২০১৭

অবশেষে দায়িত্ব বুঝে নিলেন রাসিক মেয়র বুলবুল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তিন দিন পর অবশেষে মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাসিক সচিব খন্দকার মাহবুবুর রহমান তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। একবার নির্বাচিত হয়ে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিলেন তিনি। এর আগে নগর ভবনে প্রবেশকালে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেন। ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশায় নগরীর উপশহরের বাসা থেকে তিনি বিপুলসংখ্যক নেতকর্মী সঙ্গে নিয়ে নগরভবনে প্রবেশ করেন। বাধাহীনভাবেই তিনি নগর ভবনের নির্ধারিত মেয়রের কক্ষের চেয়ারে বসেন। তিনি বলেন, গত দুই বছরে নগরসেবা ও উন্নয়নে অনেক এলোমেলো হয়েছে। আগামী ১৫ মাসে তার চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অর্ধেক হলেও বাস্তবায়ন করা। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে প্রয়োজনে চারগুণ বেশি পরিশ্রম করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, কর্পোরেশনের সব খাত কি অবস্থায় আছে তা জেনে আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন। পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে তিনি নগরবাসী ও সরকারের সহায়তাও কামনা করেন। এর আগে গত রবিবার দায়িত্ব নিতে এসে বুলবুল তার অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ পেলেও বুধবার অফিসের দরজা খোলাই ছিল। এদিন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন ও সচিব মাহবুবুর রহমান আগে থেকেই দরজা খুলে দাঁড়িয়ে মেয়রের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মেয়র বুলবুল সেখানে পৌঁছলে তারা তাকে স্বাগত জানান। মেয়র বুলবুল নিজের চেয়ারে বসেই প্রথমে দুই হাত তুলে নিজেই মোনাজাত করেন। এর পর সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় তাকে দুই দফা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র ১৬ মাস দায়িত্ব পালন করেছি। তখন সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি। আগামিতেও সরকারের সহযোগিতা পাব উল্লেখ করে বুলবুল বলেন, গত দুই বছরে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম ভেঙ্গে অচলাবস্থার রূপ দেয়া হয়েছে। এই অচলাবস্থা আগামী ১৫ মাসে কাটাতে চেষ্টা করব। যদি চারগুণ পরিশ্রম করতে হয়, তাই করব। চেষ্টা করব, জনগণের আশা অর্ধেক হলেও যেন পূরণ করতে পারি। এটি হলো সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা হবে। যে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে, যে সম্পর্ক ঘুণে ধরেছে, সে সম্পর্ককে তৈরি করার টার্গেট এখন।
×