ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দখল ও দূষণের কবলে শীতলক্ষ্যা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৬ এপ্রিল ২০১৭

দখল ও দূষণের কবলে শীতলক্ষ্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ ॥ শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজ ও ড্রেজার রাখার কারণে রাস্তা-ঘাটের মতো জলপথেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। নদীর মাঝে জাহাজ রাখার কারণে ঘটছে নিত্যনৈমিত্তিক দুর্ঘটনা। সিটি গ্রুপ, রূপচাঁদাসহ বিভিন্ন কোম্পানির জাহাজ নদীতে রাখার ফলে নদীর বেশিরভাগ অংশই দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে নদী দিয়ে অন্যান্য জাহাজ, নৌকা, স্টিমার, ভলগেট, চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় ঘটছে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা। এসিআই ফ্লাওয়ার মিল ও এসিআই সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিটি গ্রুপ, ক্রিস্টাল সল্ট, রূপচাঁদাসহ অন্যান্য কোম্পানির মাল ওঠানো- নামানোর জন্য নদীর কিনারে জেটি বানিয়ে নদী দখল করে রেখেছে। শীতলক্ষ্যা নদীর ৪০-৫০ স্থানে ড্রেজিং প্রকল্প গড়ে উঠেছে। সরকারদলীয় কয়েকটি প্রভাবশালী সংগঠন নদীতে এ ড্রেজার ব্যবসা গড়ে তুলেছে। বছরের পর বছর ড্রেজার রেখে নদী দখল করে রাখা হচ্ছে। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের ডকইয়ার্ড। শুধু তাই নয়, এ সকল শিল্পকারখানার বর্জ্য পানিতে মিশে পানি দূষিত করছে। বর্তমানে ভয়াবহ দূষণ আর দখলের কবলে শীতলক্ষ্যা। এক সময় এ নদীর পানি বোতলজাত হয়ে বিদেশে পাঠানো হতো। অথচ বর্তমানে এ নদীর পানি বিদেশে পাঠানো তো দূরের কথা এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শীতলক্ষ্যা দূষণের জন্য দায়ী শিল্প-কারখানার বেশির ভাগেরই বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নেই। বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইটিপি থাকলেও অনেক সময়ই তা বন্ধ থাকে বলে জানা গেছে। পরিশোধন ছাড়াই শিল্পবর্জ্য মিশে যাচ্ছে শীতলক্ষ্যার পানিতে। নদী ঘিরে এমন অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে, যা পরিবেশের কোন ছাড়পত্র নেই। আবার যেসব কারখানার অবস্থান নদী থেকে দূরে, বর্জ্যনিষ্কাশন কাজে তারা ব্যবহার করছে সরকারী খাল-বিল। ফলে এ সকল প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যও এসে মিশে যাচ্ছে শীতলক্ষ্যায়।
×