ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া কর আদায়ে হালখাতার আয়োজন করবে এনবিআর

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৬ এপ্রিল ২০১৭

বকেয়া কর আদায়ে হালখাতার আয়োজন করবে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করদাতাদের কাছ থেকে বকেয়া কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ‘হালখাতা’র আয়োজন করবে। বুধবার এনবিআর ভবনে আয়োজিত অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, হালখাতায় ‘বকেয়া আদায় নয়, পরিশোধ’ শিরোনামে করদাতাদের কাছ থেকে বকেয়া কর সংগ্রহ করা হবে। ওইদিন করদাতাদের জন্য নতুন খাতা খোলা হবে। গ্রামগঞ্জের হালখাতার মতোই মিষ্টিও খাওয়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, একই পরিবারের সব সদস্য যদি কর দেন তাহলে ওই পরিবারকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মাননা দেয়া হবে এবং তারা ‘কর বাহাদুর’ উপাধি পাবে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিলে ধরা পড়বে, সেই আইন এনবিআরের আছে। করবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এর আইনগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। নজিবুর রহমান বলেন, ইয়াং জেনারেশন এনবিআরের ভবিষ্যত করদাতা। আমরা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে নানা কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। এনবিআরের এখন লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা। ইয়াং জেনারেশন ভ্যাট চেকার নামে ভ্যাট ফাঁকি রোধ এ্যাপস তৈরি করেছে। এটুআই ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে পার্টানারশিপ গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, তরুণদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা ডোর টু ডোর গিয়ে জনগণকে কর বিষয়ে সচেতন করবে। তিনি বলেন, নতুন কাস্টমস আইন হয়েছে, প্রত্যক্ষ আয়কর আইন করা হয়েছে। এনবিআরের প্রথগত যে প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা ছিল তা আমরা কাটিয়ে উঠছি। এনবিআরের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটার, লিংডিন দেখলে দেখা যাবে এনবিআরের পরিধি কত বিস্তৃত হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশে রাজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। মানুষ আগ্রহী হয়ে কর দিচ্ছেন। ই-টিআইএন ২৮ ইতোমধ্যে উন্নীত হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে এনবিআরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অব্যাহত সহযোগিতার ফলে। নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়েছে। আগামীতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে এ খাত থেকে যতবেশি রাজস্ব আদায় করা যায় সেটিকে মূল লক্ষ্য ধরে তামাকাজাত পণ্যের ওপর করের কাঠামো (সøাব) পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। এনবিআরের পক্ষে সদস্য (মূসক নীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য টোব্যাকোর (তামাক) ব্যবহার কমানো এবং এ খাত থেকে যত বেশি রাজস্ব আদায় করা যায়। সেভাবেই নতুন ভ্যাট আইনে তামাকজাত পণ্যের সøাব নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান, ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×