ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুধীর বরণ মাঝি

শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৫ এপ্রিল ২০১৭

শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নবম ও দশম শ্রেণি

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক, হাইমচর কলেজ, হাইমচর-চাঁদপুর। মোবাইল : ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫ চতুর্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ১। গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে দিন দিন শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং তিনি তার কারণ বিচার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ক্রমান¦য়ে বাড়তে লাগলএবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠল। শিক্ষার্থীরা এখন একটি নির্ধারিত ছক কাগজে তাদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথ্যাদিও সংরক্ষণ করে। ক) স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কী ? খ) শিশুদের টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। গ) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার তথ্যাদি সংরক্ষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রধান শিক্ষকের গৃহীত ব্যবস্থাটির উদ্দেশ্য পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ক) উত্তরঃ ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগতভাবে বেচেঁ থাকার বিজ্ঞান সম্মত উপায়সমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা, বিশ্লেষণ করে যে সিদান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে।স্বাস্থ্য বিজ্ঞান আমাদেরকে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে ধারণা দেয়। খ) উত্তর ঃ করিলে টিকা গ্রহণ, বাচিঁবে শিশুর জীবন। যে সব রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে যথা সময়ে শিশুদের অবশ্যই সেই টিকা নিতে হবে। টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিশুরা মারাত্মক ১০টি রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। টিকা না নিলে অনেক সময় শারীরিক প্রতিবন্ধি হয়ে যায়। যেমন, পলিও আক্রন্ত, আবার শিশুদের মৃত্যুও হতে পারে। শিশুরা টিকা গ্রহণ করলে যেমন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে তেমনি রক্ষা পেতে পারে শিশুর পরিবারও। টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে পরিবারের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে। যথা সময়ে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে দেশও জাতিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। গ) উত্তর ঃ ভালো কিছু পেতে হলে তথ্য সংরক্ষণের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার তথ্যাদি সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ৩ থেকে ৬ ঘন্টা বিদ্যালয়ে অবস্থান করে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বয়স, ওজন, রক্তের গ্রুপ, নাড়ির গতি, দৈহিক গঠন, চোখ, কান, হৃদপিন্ড, ফুসফুস প্রভৃতি বিষয়ে পরীক্ষা করবেন এবং তথ্যাদি সংরক্ষণ করবেন। তথ্যাদি সংরক্ষিত থাকলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় এবং কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সংরক্ষিত তথ্যাদি থেকে তথ্য নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা যায়। এতে সময় ও অর্থের অপচয় কম হয় এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়। এতে করে শিক্ষথীদের কঠিন অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কম খাকে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার তথ্যাদি সংরক্ষণে থাকলে বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওয়তায় নিয়ে আসা যায় এবং এতে শিক্ষার্থীদের সুস্থতা বজায় থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য তথ্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে। ঘ) উত্তর ঃ ঝরে পড়া, ক্ষুধা নিবারণ, অপুষ্টি এবং পড়ায় মন না বসা ইত্যাদি দূর করার ক্ষেত্রে মধ্যাহ্নকলীন টিফিন প্রোগ্রাম কার্য়করী ভূমিকা পালন করে। উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রধান শিক্ষকের ব্যবস্থাটির নাম হলো মধ্যাহ্নকলীন টিফিন প্রোগ্রাম। এই ব্যবস্থাটির উদ্দেশ্য পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা করা হলো। ১। বিদ্যালয়ে অবস্থানকালীন সময়ে ক্ষুধা নিবারণ। ২। বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ঝরে পড়া রোধ এবং ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি। ৩। শ্রেণিকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস্পারিক সদ্ভাব ও বন্ধুত্বের সৃষ্টি,সহাবস্থান ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি। ৪। অপুষ্টি রোধ এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। ৫। খেলাধুলা ও স্কাউট কর্মসূচিতে নিয়মিত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ। ৬। দারিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উপর খেকে খাদ্য সংস্থানের একটি চাপ দূরভূতকরণ এবং তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ। ৭। শিক্ষার্থীদের অবসাদ ও ক্লান্তি দূর হয়। ৮। লেখাপড়ার মান উন্নত হয়। ৯। শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধিত হয়। প্রধান শিক্ষকের মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রামের সফল বাস্তবায়ন সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচিকে গিয়ে নিবে,শিক্ষার হার বাড়বে এবং সর্বোপরি একটি সুস্থ জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
×