ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্দ্বীপে ইঞ্জিন বোট ডুবির ঘটনায় আরও ৯ লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৫ এপ্রিল ২০১৭

সন্দ্বীপে ইঞ্জিন বোট ডুবির  ঘটনায় আরও ৯ লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীবোঝাই ইঞ্জিন বোট ডুবির ঘটনায় আরও ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৪টি মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯ জন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া ৯টি মরদেহের মধ্যে ৩টি পাওয়া যায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায়। স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করলে উদ্ধারকারী টিম লাশগুলো উদ্ধার করে। সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন জানায়, বোট ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪টি মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ রয়েছে আরও ৯ জন। মঙ্গলবার যে ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেনÑ আফিজ উল্লাহ (৫৫), সামসুল আলম (৩১), নঈম উদ্দিন (৩৫), নিজাম উদ্দিন (৪০), মোঃ কামরুজ্জামান (৩২), ওসমান (৪০), মাসুদ (৩০) এবং ইউসুফ মাস্টার। বাকি একজনের পরিচয় অজ্ঞাত। যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের অধিকাংশই সন্দ্বীপের বাসিন্দা। নিখোঁজদের অনুসন্ধানে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তবে আবহাওয়া বিরূপ থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। চ্যানেলে প্রচ- স্রোতের কারণে নিখোঁজদের দূরে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় ‘এসটি সালাম’ নামের একটি সি ট্রাক সীতাকু-ের কুমিরা ঘাট থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পৌঁছায় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে। সেখানে যাত্রীরা সি ট্রাক থেকে ড্যানিস বোটে নামার সময় বোট উল্টে ডুবে যায়। এতে যাত্রীরা কূলে উঠার আগেই পানিতে পড়ে যান। এর মধ্যে ২৭ জন তীরে উঠতে সক্ষম হন। অবশিষ্টরা স্রোতের টানে ভেসে যান। সোমবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ৫টি মরদেহ। বাকিদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতায় পাওয়া গেল আরও ৯টি লাশ। এদিকে, নিখোঁজদের সন্ধান পেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন স্বজনরা। ঘাট এলাকায় তাদের আহাজারি। আবহাওয়ার তারতম্যের আধিক্যজনিত কারণে ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রচ- ঝড়ো হাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা বিঘিœত হয়। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া জানান, নিখোঁজ যারা রয়েছেন তাদের উদ্ধারে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে। স্থানীয় জনসাধারণও এ তৎপরতায় সহযোগিতা করছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
×