ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রবিরশ্মির সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘বইল প্রাণে দখিনা হাওয়া’

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৫ এপ্রিল ২০১৭

রবিরশ্মির সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘বইল প্রাণে দখিনা হাওয়া’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চৈতালী সন্ধ্যায় ভেসে বেড়ালো বসন্তকে বিদায় জানানো গানের সুর। গাওয়া হলো কবিগুরুর প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলো। বসন্ত বন্দনার এ সঙ্গীতসন্ধ্যায় প্রকৃতি পর্যায়ের সঙ্গে গীত হলো রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও পূজা পর্যায়েরও কিছু গান। কারণ, গানগুলোর বাণীর মাঝেও যে লুকিয়ে ছিল ঋতুরাজের প্রতি মুগ্ধতার কথা। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো ‘বইল প্রাণে দখিন হাওয়া’ শীর্ষক রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যা। সম্মেলক ও একক গানে সাজানো সঙ্গীত আসরটির আয়োজন করে রবিরশ্মি। প্রতি তিন মাস অন্তর ধারাবাহিক সঙ্গীতানুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এই সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলক গানের সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনেকগুলো কণ্ঠ মিলে যায় এক সুরে গেয়ে ওঠে ‘বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে/স্থলে জলে নভতলে বনে উপবনে’। ঋতুরাজের বন্দনা করা সম্মিলিত কণ্ঠের দ্বিতীয় গানের শিরোনাম ছিল ‘দখিন হাওয়া জাগো/ধীরে ধীরে বও’। একক কণ্ঠে পারমিনা তোড়া উইলিয়াম গেয়ে শোনান ‘পথ দিয়ে কে যায়’। শারমিন আক্তার স্বর্ণা পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘মোর বীণা ওঠে’। ‘এতদিন যে বসেছিলেন’ শিরোনামের সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজিব ফেরদৌস। দীপা ধর পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’। ফারমিন ইসলাম ইমা গেয়ে শোনান ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’। দিলীপ কুমারের কণ্ঠে গীত হয় ‘আহা আজি এ বসন্তে’। দীপ্তি চৌধুরী গেয়ে শোনান ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’। মাকসুদা খানম পরিবেশন করেন ‘আমার মল্লিকা বনে’। এছাড়াও একক কণ্ঠে গান শোনান রাবেয়া আক্তার, শামীম আরা বেগম, তন্বী বিশ্বাস ও মহাদেব ঘোষ। তাঁদের গাওয়া গানগুলোর শিরোনাম ছিল ‘ওগো দখিন হাওয়া’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ‘তুই রে বসন্ত সমীরণ’ ও ‘নয়ন মেলে দেখি আমায়’। একক গানের মাঝে পরিবেশিত হয় ‘বসন্ত ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা’ এবং ‘ও মঞ্জুরী আমার আমের মঞ্জুরী’ শীর্ষক সম্মেলক সঙ্গীত। সঙ্গীতাসরের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন রবিরশ্মির পরিচালক রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মহাদেব ঘোষ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রবিরশ্মির উপদেষ্টা ড. মকবুল হোসেন। একুশে পদকপ্রাপ্তিতে শামীম আরা নীপাকে সংবর্ধনা ॥ সম্প্রতি একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন নন্দিত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা। আর এই অর্জন উপলক্ষে তাঁকে প্রদান করা হলো সংবর্ধনা। বিশিষ্টজনদের ফুলেল শুভেচ্ছার পাশাপাশি নীপাকে নিবেদিত কথনে আননন্দময় হয়ে ওঠে আয়োজন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নৃত্য সংগঠন নৃত্যাঞ্চল। সংবর্ধনাপ্রাপ্তির অনুভতি প্রকাশ করেন শামীম আরা নীপা বলেন, এ আয়োজনকে ঘিরে আমার ভালোলাগার মানুষগুলোকে একসাথে পেলাম। তাঁদের সঙ্গে নিজের সাফল্যের উদ্্যাপনটা ভাগাভাগি করে নিলাম। এটাও আমার কাছে আরেক ধরনের প্রাপ্তি। আয়োজনের শুরুতেই শামীম আরা নীপার একুশে পদকপ্রাপ্তির সাফল্যের উদ্যাপনে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীরা। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের কেউ বা নীপাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন। আবার কেউ বা কথা বলেছেন তাঁর বর্ণিল জীবনের সাফল্যগাথা নিয়ে। কারো কথায় উঠে এসেছে এই শিল্পীকে নিয়ে অতীতের স্মৃতিকথা। বরেণ্য এই নৃত্যশিল্পীকে শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী, চিত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পীসহ সংস্কৃতির ভুবনের নানা শাখার ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, নৃত্যশিল্পী ড. মহুয়া মুখার্জী, আমানুল হক, জিনাত বকরতউল্লাহ, কণ্ঠশিল্পী সাদি মহম্মদ প্রমুখ। ‘পুতুলের বিয়ে’ নাটকের মঞ্চায়ন ॥ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হল ঢাকা আর্ট থিয়েটারের নাটক ‘পুতুলের বিয়ে’। নজরুল চর্চা কেন্দ্র বাঁশরী এ নাটকটির প্রযোজক। বাঁশরী নজরুল চর্চা কেন্দ্রের মুখপাত্র শামস উজ্জ্বল বলেন, বিশ্বজুড়ে ধর্মে-ধর্মে হানাহানি, ধনী-গরিব-অসাম্য, সাদা-কালো বৈষম্য, দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার চলছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কবি কাজী নজরুল ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন গতি নাই।
×