ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত থেকে ভ্যাট তুলে দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৫ এপ্রিল ২০১৭

বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত থেকে ভ্যাট তুলে দেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত থেকে ভ্যাট তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিদ্যুত, জ্বালানিসহ সকল সর্বজনীন বিষয়ে ভ্যাট তুলে দিতে হবে। কেননা, এটি সবার প্রয়োজন। আর এটি তুলে দিতে পারলে সবার ভাল হবে। আর তা না হলে অন্তত কমিয়ে আনা প্রয়োজন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ২০১৭-১৮ সালের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, দিন দিন সর্বজনীন ব্যবহারকৃত বিষয়গুলোর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে ভ্যাট হলো বিক্রয় কর, যা ভোক্তার ওপর আরোপ করা হয়। তাই ভ্যাট আদায়ে ব্যবসায়ীদের উৎসাহী করতে এবং ভ্যাট আদায়ে কর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরী। তবে আমাদের দেশে ভ্যাট দেয়ার মতো কত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, তার কোন হিসাব কারও কছে নেই। নিবন্ধিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কত ভ্যাট দিচ্ছে, তারও কোন হিসাব নেই। কিন্ত আমাদের যদি হিসাব থাকত তাহলে আমরা জানতে পারতাম, বছরে কী পরিমাণ ভ্যাট আদায় হচ্ছে। আসলে ভ্যাট ফাঁকিবাজদেরও আমরা ধরতে পারতাম এবং ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হতো। তাই ভ্যাট আইন সুন্দর হলেও সেটি বাস্তবায়িত না হলে কোন লাভ নেই। ভ্যাট আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। ভ্যাট আদায়ের পর সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভোক্তার কাছ থেকে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট আদায় করছে। কিন্তু আদায়কৃত ভ্যাট আসলে কি সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে? যদি হয়ে থাকে তাহলে তার পরিমাণ কত, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। না হলে ভোক্তারা ভ্যাট দিতে চাইবেন না। তখন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করেও আশানুরূপ কোন সফলতা আসবে না। এছাড়া কর ফাঁকি বন্ধ করতে হলে আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। এক্ষেত্রে এনবিআরকে অবশ্যই যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তাহলে সম্মানের ভয়ে কেউ আর কর ফাঁকি দেবেন না। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয় যেমন বিদ্যুত ও জ্বালানিতে ভ্যাট রাখা হবে কি-না সেটি চিন্তা করতে হবে। এছাড়া কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হবে কি-না সেটিও দেখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, করদাতাদের হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে আমরা সিঙ্গেল উইনডো সেবা চালু করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক প্রতিটি বিভাগ ডিজিটালাইজ করার পথে হাঁটছি। ডিজিটাল এনবিআর গঠনের মাধ্যমে হয়রানি শব্দটি মুছে যাবে। এ প্রাক-বাজেট আলোচনায় পিডব্লিউসির ম্যানেজিং পার্টনার ইনচার্জ মোঃ মামুনুর রশীদসহ এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×