ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালন করুন ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৪ এপ্রিল ২০১৭

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালন করুন ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাসের এক অনন্য গৌরব গাথা ও সাফল্যের স্বাক্ষর আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগসহ সংগঠনের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে প্রতিটি ইউনিটে দিবসটির মর্যাদা অনুযায়ী সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচী যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ নির্দেশনা দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিবনগর দিবস বাঙালী জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক দিকনির্দেশনা, বাঙালী জাতির সাংবিধানিক ও যৌক্তিক অধিকার দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তৎকালীন মুজিবনগর সরকার গঠন ছিল অপরিহার্য। তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর পরিচালিত নজিরবিহীন বর্বর ও নৃশংস গণহত্যা প্রতিরোধ করে বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অখ-তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য নবগঠিত এ সরকার অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। এই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালীর প্রতিরোধ সংগ্রাম প্রবল যুদ্ধে রূপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। বিবৃতিতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে কারাগারে বন্দী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার মুক্তিকামী সকল স্তরের বাঙালী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দীর্ঘ নয় মাস দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
×