ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে কারচুপি, শিক্ষক ও গবর্নিংবডি জড়িত

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৪ এপ্রিল ২০১৭

স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে কারচুপি, শিক্ষক ও গবর্নিংবডি জড়িত

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ গবর্নিং বডির অসৎ সদস্য ও কিছু প্রধান শিক্ষকের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে ছোটদের মন্ত্রিপরিষদ খ্যাত ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট’ নির্বাচনের সুনাম। সারাদেশের প্রায় ২৩ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসায় সরকারী ঘোষণা অনুসারে নির্বাচনের কথা থাকলেও বেশ কিছু জেলা ও উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও গবর্নিং বডির সদস্যরা শিশুদের এ নির্বাচনেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে গোপনে প্রধান শিক্ষকরা পছন্দের শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করতে জাল ভোটের আশ্রয় নিয়েছেন বলে ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষ। শিশুরা চাইলেও নির্বাচন করেনি অনেকে প্রতিষ্ঠান। এসব ঘটনায় সংঘর্ষও হয়েছে কোথাও কোথাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই সব এলাকায় বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এদিকে গত তিন দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অনিয়ম জালিয়াতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা আন্দোলন করার পর তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। মাদারীপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি এলাকায় প্রধান শিক্ষকরা অন্যায়ের প্রতিবাদকারী শিশুদের ডেকে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পা ধরিয়েছেন। শিশুদের অভিভাবকরা ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষকদের দায়ী করে অবিলম্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদফতর ও নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুসারে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রীতিমতো উৎসবের আমেজে সারাদেশের স্কুল ও মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট’ নির্বাচন। ওইদিন শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত ছিল রাজধানীসহ সারাদেশের হাজার মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা রেখেই তারা মেতে ওঠে উল্লাসে। নিজ নিজ স্কুলে নির্বাচনী উৎসবে শামিল হয়ে শিক্ষার উন্নয়নে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই ভোট দিয়ে নির্বাচন করলেন নিজেদের প্রতিনিধি। এ শিশু শিক্ষার্থীদেরই কেউ হয়েছে মন্ত্রী, আবার কেউ প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা অনুসারে নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছে শিশুরাই। শৃঙ্খলা রক্ষায় কেউ কেউ হয়েছে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্য। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আটজন করে প্রার্থী নির্বাচিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠনের উদ্দেশ্যগুলো হলো- বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিদ্যালয়ে শতকরা ১০০ ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শিক্ষা কার্যক্রমে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা সম্পর্কে অভিভাবক এবং অন্যান্যদের অবহিত এবং উদ্বুদ্ধকরণ, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। সারাদেশের নির্বাচনের তদারকি করে শিক্ষা তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যাবনবেইস)। তবে নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক খবরের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকারের কাছে আসছে শিশুদের এ নির্বাচনেও অসাধু চক্রের জালিয়াতির খবর। গণমাধ্যমেও এসব খবর আসছে। মাদারীপুরে জাল ভোটের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ছেড়ে থানায় চলে আসা ও দিনভর আন্দোলনের নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর ও ব্যানবেইস। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে আপত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। তবে সোমবার থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শিশুদের ওপর চড়াও হওয়ার খবর আসছে। জানা গেছে, শিক্ষা অধিদফতর ও ব্যানবেইস অভিযোগ আসা বিদ্যালয়ের তালিকা করছে। কোথায় সঙ্কটের জন্য কারা দায়ী তাও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র চর্চার অংশ হিসেবে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন বাধ্যতামূলক থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ভূঞাপুরে ৩২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবার্চন হয়নি। ১৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৬টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নির্বাচন দেয়নি। ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। সারাদেশের ন্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের জন্য উপজেলার সব’কটি প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকারীভাবে নির্দেশনা দেয়া হলেও সেটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন করেনি। বিদ্যালয়ে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হলেও নির্বাচন না করে সিলেকশন কমিটি করে দায়িত্ব শেষ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধানরা অবশ্য বলেছেন, স্টুডেন্টস কেবিনেটে ৮ জনের অধিক প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন হয়নি। ফলে সিলেকশন করে শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়ে নির্বাচন না হওয়া একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে নির্বাচনের জন্য টাকা জমা দেয়া হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে সিলেকশন করে কমিটি জমা দিয়েছেন শুনেছি। বিদ্যালয়ে নির্বাচন হবে বলে আশায় ছিলাম। অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হলাম কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্তানরা বিদ্যালয়ে নির্বাচন করবে এটি ভাল উদ্যোগ সরকারের। গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু জানতে পারবে তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হয়নি এটি দুঃখজনক। গোবিন্দ দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। সে কারণে নির্বাচন করা হয়নি। কালকিনি প্রতিনিধি (মাদারীপুর) জানিয়েছেন, কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কেবিনেটের কমিটি গোপনে গঠন করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ বিক্ষোভের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তোপের মুখে পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। বিদ্যালয় ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র বাড়ৈ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিহির কুমার হালদার মিলে গোপনে ওই বিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কেবিনেট কমিটি গঠন করেন। পরে এ কমিটি গঠননের খবর ফাঁস হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিক্ষোভের কারণে তোপের মুখে পড়ে ওই কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডেকে ৭ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নতুন কমিটি গঠন করার আশ্বাস দেয়া হয়। এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে ডাসার থানা পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শিক্ষার্থীরা বলছে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি না করে গোপনে কমিটি করায় আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছি। প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তা বিলুপ্তি করে ফের নতুন কমিটি করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাসার থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে। তারা যে গোপনে কমিটি গঠন করেছে তা বিলুপ্তি করে ৭ দিনের মধ্যে নতুন কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষকসহ ৫ ছাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর এসেছে শিক্ষা দফতরে। এছাড়াও ব্যালেট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা জানায়, কেবিনেট নির্বাচনের এক প্রার্থী নির্বাচনে তার পরাজয়ের খবর জানতে পেরে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রে হামলা করে। এসময় শিক্ষকসহ ৫ ছাত্রী আহত হয়। পরে আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে তারা জানায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগম জানান, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা যে অঘটন ঘটিয়েছে তাতে আমরা কেউ নিরাপদ নই। এটি জাতির জন্য অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে একযোগে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালনাধীন ফতেয়াবাদ বহুমুখী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজে হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। নীলফামারীর জলঢাকায় বেশিরভাগ স্কুলে সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানে সরকারী আদেশ লংঘন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে মন্ত্রণালয়ে। বরিশালে কয়েকটি উপজেলায় মনগড়া ভোটবিহীন নির্বাচনের খবর পাওয়া গেছে। কোন কোন স্কুল এবং মাদ্রাসায় নির্বাচনের উৎসব ছাড়াই কমিটি স্টুডেন্ট কেবিনেট কমিটি ঘোষণার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। নড়াইলের লোহাগড়ায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে জালভোটসহ নানা ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তিন ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল কে কে এস ইনস্টিটিউশন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। লোহাগড়ার ওই প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী নবম শ্রেণীর ছাত্র পাভেলের পক্ষে জাল ভোট দিতে আসে শুভ শিকদার নামের এক বহিরাগত তরুণ। এসময় অপর প্রার্থীর এজেন্ট রমজান জালভোট প্রদানে বাধা দেয়। এ ঘটনায় শুভ ও পাভেল ক্ষুব্ধ হয়। যাশোরের শ্যামনগরে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও গবর্নিং বডির বিরুদ্ধে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এদিকে এসব ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে শিক্ষা প্রশাসন। মাউশি অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলছিলেন, মাদারীপুরে আমরা নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছি। তথ্য সংগ্রহ করছি কোথায় নির্বাচন হয়নি বা কি অনিয়ম হয়েছে। নতুন কোন তথ্য পেলে জানাতেও তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে ব্যানবেইস পরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলছিলেন, যেখানে নির্বাচন করা হয়নি সেখানে ৮ তারিখ নির্বাচন হবে। অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তদন্ত করে দেখব। বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×