ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এমন বিধান রেখে মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করেছে ভূমি অধিগ্রহণ আইন

ধর্মীয় স্থানের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৪ এপ্রিল ২০১৭

ধর্মীয় স্থানের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জনস্বার্থে ধর্মীয় উপাসনালয়ের জমি অধিগ্রহণের বিধান রেখে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে খসড়া আইন অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ দেড়গুণ থেকে বাড়িয়ে তিনগুণ করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ অনুমোদন দিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, চলচ্চিত্রে সরাসরি কোন ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। পাশাপাশি ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা রুটে নতুন বাস সেবা চালু করতে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য খসড়া অনুমোদন করেছে সরকার। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সকল অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাবর্ত্য তিন জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের টাকা কে নেবে এমন প্রশ্ন তোলা হয়। মূলত পাবর্ত্য এলাকার ভূমি সরকারের। এক বা দুই বছরের লিজ নিয়ে পাহাড়িরা সেখানে জুম চাষ বা আবাদ করে। সে ক্ষেত্রে ওই এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করলে টাকা সরকারের কোষাগারে থাকবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি পাবর্ত্য জেলা পরিষদের সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করতে হবে। যাদের লিজ দেয়া হয়, ভূমি তাদের বন্দোবস্তু দেয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। পাহাড়িদের ওই ভূমির মালিক করে দিলে কোন কারণে সরকার সেখানে ভূমি অধিগ্রহণ করলে, সে টাকা মালিকরা পাবেন। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন পাহাড়িরা আন্দোলন করে আসছেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এত দিন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ দেয়া হত ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ অনুসরণ করে। সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে আইন করা হচ্ছে। আগের আইন অনুযায়ী ধর্মীয় উপাসনালয় যেমনÑ মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশানের ভূমি অধিগ্রহণ করা যেত না। এখনও সাধারণভাবে সেই বিধানই আছে। তবে জনপ্রয়োজনে বা জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা সংস্থার অর্থে স্থানান্তর ও পুনর্নিমাণ সাপেক্ষে সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে। অর্থাৎ রাস্তার ওপর একটা মসজিদ পড়ে গেল, অপসারণ না করলে রাস্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেÑ তখন এটাকে সরিয়ে স্থানান্তর করে মসজিদ পুনর্নিমাণ করে রাস্তাটা পরিষ্কার করা যাবে। সরকারীভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জমির দামের তিনগুণ এবং বেসরকারীভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ চারগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও জনস্বার্থে কখনও কখনও ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে। কোথাও স্কুল হবে, কোন একটা প্রতিষ্ঠান হবে, সে জন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করতে পারে কিন্তু ক্ষতিপূরণ বেশি দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে আইন অনুযায়ী বিগত বছরের ১২ মাসে একই মৌজায় একই শ্রেণীর জমি কেনাবেচার দামের গড় করে অধিগ্রহণ করা জমির দাম নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, আগে অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আর্বিট্রেশন নিয়োগ দেয়া হত। প্রস্তাবিত আইনে যুগ্ম জেলা জজ বা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হবে। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা। মন্ত্রিসভা এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়। ভূমি সংক্রান্ত ও জটিল হওয়ায় আইনটিকে আরও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিসভা আইনমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নিয়ে ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি প্রস্তুতের পর তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। চলচ্চিত্রে ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না ॥ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নীতিমালা অনুযায়ী, চলচ্চিত্রে সরাসরি কোন ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। এছাড়া অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে। সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নীতিমালাটি অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সুস্থধারার চলচ্চিত্র সম্প্রসারিত ও উৎসাহিত করতে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে মন্ত্রিসভা চলচ্চিত্র নীতিমালা পাস করল। নীতিমালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শন নিশ্চিত করা। সুস্থ, শিক্ষামূলক ও বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ বিতরণ ও প্রদর্শন করতে সরকার এবং বেরকারী পর্যায়ে নীতিগত ও অবকাঠামোগত ও কারিগরি সহায়ত দিতে করণীয় বিষয়াদি সুনির্দিষ্ট করা। নীতিমালা অনুযায়ী অনুসরণীয় মানদ- হবে- চলচ্চিত্রে পরিবেশিত তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা, পেশাগত নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা, চলচ্চিত্র নির্মাণ বিতরণ ও প্রদর্শনে দায়িত্বশীলতা। নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা সমুন্নত রাখতে হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, কোন চলচ্চিত্রে কোনভাবেই রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। চলচ্চিত্রে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। চলচ্চিত্রে দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন এবং এর সঙ্গে জনগণের নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন ও সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। চলচ্চিত্রে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সকল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং ধর্মীয় সহিংসতারোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। এ জাতীয় অনেকগুলো বিষয় রয়েছে এতে। নীতিমালায় বলা হয়েছেÑ চলচ্চিত্রে সরাসরি কোন ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। শিশু বা নারী কিংবা উভয়ের প্রতি সহিংসতা বা বৈষম্যমূলক আচরণ বা হয়রানিমূলক কর্মকা-কে উদ্বুদ্ধ করে এমন কোন ঘটনা ও দৃশ্য চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা যাবে না। কোন অশোভন উক্তি, আচরণ এবং অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে। চলচ্চিত্রের সংলাপে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্র আমদানি ও রফতানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এরা চলচ্চিত্র আমদানি বা রফতানির সুপারিশ করবে। তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের জাতীয় চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি থাকবে। এ কমিটি নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ দেবে। শফিউল আলম বলেন, সেন্সর শব্দটি একটু নেতিবাচক, নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট বহন করে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে সেন্সরের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশেও পর্যায়েক্রমে সেন্সর সিস্টেম বাদ দিয়ে সার্টিফিকেশন সিস্টেম প্রবর্তন করা হবে। চলচ্চিত্রের সৃজনশীলতা বজায় রাখতে কপিরাইট ও অন্যান্য মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে নীতিমালায়। চলচ্চিত্রে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগের কথাও নীতিমালায় বলা হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে যৌথ বিনিয়োগ উৎসাহিত ও বাজার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট দেশের চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক সমন্বয়ে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের নির্মাণ উৎসাহিত করা হবে। চলচ্চিত্র নীতিমালা অনুমোদন দেয়ার সময় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। প্রেক্ষগৃহগুলো বাণিজ্যিক ভবন হয়ে যাচ্ছে, দোকানপাট হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি সরকারী তথ্য ভবন হবে। এ ভবনে একটি করে সিনেপ্লেক্স থাকবে। সরকারী অনুদান দিয়েও বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স করা হবে। ঢাকা-খুলনা কলকাতা বাস সার্ভিস ॥ ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা রুটে নতুন বাস সেবা চালু করতে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য খসড়া অনুমোদন করেছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-কলকাতা রুটে বেনাপোল হয়ে গাড়ি চলাচল করে। এ চুক্তি হলে ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটে বাস চালু হবে। মন্ত্রিসভা বিষয়টি অনুমোদন করেছে। সচিব বলেন, ঢাকা থেকে সড়কপথে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু, হাটিকুমরুল হয়ে যশোরের বেনাপোল হয়ে গাড়ি কলকাতায় যায়। নতুন রুটে মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রূপসা নদী পার হয়ে খুলনা দিয়ে বেনাপোল হয়ে কলকাতা যাবে, এতে দূরত্ব কমবে ৯৬ কিলোমিটার। নতুন এ রুটে কবে থেকে গাড়ি চলবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে চুক্তি হবে তারপর চালু হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে বা পরে এ চুক্তি হতে পারে। তিনি বলেন, চুক্তি হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রুটের বাস সেবা উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনে ঢাকা ও কলকাতা থেকে দুটি বাস রওনা হবে। ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ॥ সরকার ২৩ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা এ দিনটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আর্থিক খরচের ওপর দিবসের শ্রেণী করা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খ’ শ্রেণীতে সরকারী উৎস থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, ওই গ্রুপে এটাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্যদেশেও এ দিবস রয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে দিবসটি পালন করে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে ২৩ জুন পালন করা হয়। আমাদের দেশে ২৩ জুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। দ্বৈততা পরিহারের জন্য এটা ২৩ জুলাই করা হলো। বাংলাদেশে পাবলিক সার্ভিস দিবস ২৩ জুলাই কেন নির্ধারিত হলো- এমন প্রশ্নে শফিউল বলেন, ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো ফরমালি জনপ্রশাসন পদক দেন। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন ॥ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পুতুলকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন’ স্বীকৃতি দেয়।
×