ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্নমান ॥ অভিযোগ করলে ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি

দিনাজপুরে স্কুল মাঠে টিফিন ফেলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৪ এপ্রিল ২০১৭

দিনাজপুরে স্কুল মাঠে টিফিন ফেলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ অনেকদিন থেকে নিম্নমানের টিফিন সরবরাহ করায় অবশেষে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দিনাজপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনের মতো নিম্নমানের টিফিন সররবরাহ করায় সোমবার তা মাঠে ফেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শত শত শিক্ষার্থী। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু টিফিন ফি বাবদ প্রতিমাসে ৭০ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু তাদের সপ্তাহে টিফিন দেয়া হয় পাঁচদিন। জানুয়ারি মাসে তাদের কোন টিফিন দেয়া হয়নি। এছাড়াও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি, রমজান মাসসহ অন্যান্য সময় স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসের টিফিন ফি ঠিকই আদায় করা হয়। কিন্তু এরপরও টিফিনের মান একেবারেই নিম্নমানের এবং পরিমাণ খুবই কম। নামেমাত্র টিফিন দিয়ে প্রতিমাসে টিফিন ফি আদায় করা হয় ঠিকই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, তাদের যে টিফিন দেয়া হয় তা খাবারের অযোগ্য এবং পরিমাণ একেবারেই কম। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করতে চাইলে, তাদের ফেল করিয়ে দেয়াসহ হুমকি দেয়া হয় বলে জানায় তারা। অনেকদিন থেকে এসব খাবার অযোগ্য টিফিন সরবরাহ করায় বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকবার তারা ক্লাস শিক্ষকসহ প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ করে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রভাতী শাখায় নিম্নমানের ও দুর্গন্ধ কেক সরবরাহ করা হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা সব টিফিন স্কুল মাঠে ফেলে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, একই ফির বিনিময়ে দিনাজপুর জিলা স্কুলে উন্নতমানের টিফিন দেয়া হলেও তাদের স্কুলে সেই মানের টিফিন দেয়া হয় না। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করলেও বার বার তাদের নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানায়। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের নাম সংবাদপত্রে এলে পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়াসহ নির্যাতন চালানো হবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র শেখর ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সহকারী শিক্ষক লিয়াকত আলী টিফিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং টিফিন স্কুল মাঠে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, সোমবারে টিফিন হিসেবে যে কেক দেয়া হয়েছিল, তার মান ঠিক থাকলেও ক্রিমের ফ্লেভার (গন্ধ) খারাপ ছিল। ইতোপূর্বেও টিফিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রশ্নে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা নেয়া হয়, তাতে এর চেয়ে ভাল টিফিন দেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু জিলা স্কুলে একই টাকায় কিভাবে ভাল টিফিন দেয়া হয় ? এ প্রশ্ন করা হলে সহকারী শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, এখানকার ছাত্রীরা ডালপুরি বা ভাজা জাতীয় টিফিন পছন্দ করে না।
×