ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক প্রকল্প শেষ হয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদের ১০ বছর পর

বিদ্যুত খাতের ১৬ প্রকল্পের ১১টিতেই ব্যয় বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৪ এপ্রিল ২০১৭

বিদ্যুত খাতের ১৬ প্রকল্পের ১১টিতেই ব্যয় বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোার্টার ॥ ৩৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প খরচ গিয়ে ঠেকেছে হাজার কোটি টাকায়। আর শেষ হতে লেগেছে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১০ বছর বেশি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শেষ হওয়া বিদ্যুত বিভাগের ১৬ প্রকল্প মূল্যায়ন করে আইএমইডি খুঁজে পায় এমন ভয়াবহ চিত্র। যাতে বলা হয়, প্রকল্পগুলোর কোনটিই শেষ হয়নি সময়মতো। খরচ বেড়েছে ১১টির ক্ষেত্রেই। প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের দক্ষতা থাকা দরকার এ খাতে তার অভাব রয়েছে ভয়াবহ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুত বিভাগের মোট ১৬ প্রকল্প মূল্যায়ন করে ওই সংস্থা। যার বেশিরভাগই শেষ হয় ২০১৪ সালে। অথচ সেগুলো হাতে নেয়া ৩ থেকে ১৩ বছর আগে। যার কয়েকটি শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় তিনগুণ। যেমন সিলেটের ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট। ২০০১-০২ অর্থবছরে হাতে নেয়া ওই প্রকল্প ২০০৪ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বেশি লাগে ১০ বছর। আর সে সময় প্রকল্প খরচ ৩৪২ কোটি টাকা হলেও শেষ হয় ২০০৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ খরচ বাড়ে ১৯৩ শতাংশ। মূল্যায়ন প্রতিবেদনে থাকা ১৬ প্রকল্পের কোনটিই শেষ হয়নি নির্দিষ্ট সময়ে। আর ১১ প্রকল্পে খরচ বাড়ে তিনগুণ পর্যন্ত। ১১ টিতে বাড়ে খরচ এবং সময় দুই-ই। এসব অব্যবস্থাপনার জন্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় প্রকল্প প্রণয়নে দুর্বলতা, অদক্ষতার সঙ্গে ঋণচুক্তি, জমিসংক্রান্ত জটিলতা এবং দক্ষ জনবলের অভাবকে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয় ওই সংস্থা। বর্তমানে দেশে চালু বিদ্যুত কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫টি। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে হতাশ চাষীরা। অনেকের অভিযোগ, ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে আমদানি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে হতাশার মাঝেও কেউ কেউ নতুন জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে চলেছেন। তাদের আশা এর মধ্যেও ফলন বাড়লে, লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন। এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাতেও স্বস্তি নেই কৃষকের। ফলন ভাল হলেও কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে হতাশ মাদারীপুরের চাষীরা। তাদের অভিযোগ, পেঁয়াজ আমদানির কারণে ভাল ফলন পেলেও লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। একই অভিযোগ মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষীদের। তারা জানান, এভাবে চলতে থাকলে পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন। দাম কমার বিষয়টি স্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানির বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত।
×