ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিযোগ বিরোধীদের

গুজরাট রাজ্য সরকার সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০১৭

গুজরাট রাজ্য সরকার সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে

ভারতে কয়েক দিন আগে এক জনসভায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী বলেছিলেন, গরু, গঙ্গা এবং গীতা রক্ষা করতে বিজেপি দায়বদ্ধ। সেই গরুকে বাঁচাতে আইন আরও কঠোর করল গুজরাট। এ বার সেখানে গরু মারলে শাস্তি যাবজ্জীবন জেল। কংগ্রেস ও সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলো বলেছে, সরকার সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে। খবর আনন্দ বাজার পত্রিকা অনলাইনের। গুজরাট রাজ্যে গরু মারলে শাস্তি যাবজ্জীবন জেল। শুক্রবার এই মর্মে সংশোধনী বিল পাস হয়েছে গুজরাট বিধানসভায়। গোটা দেশের মধ্যে গো-হত্যাকারীদের জন্য এটাই সবচেয়ে কঠিন শাস্তি। এ বছরেই ভোট গুজরাটে। সেই দিকে তাকিয়ে হিন্দুত্বের হাওয়াকে জোরালো করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ‘গুজরাট প্রাণীরক্ষা আইন ১৯৫৪’-য় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল ২০১১ সালেই। সেই সংশোধনী অনুযায়ী, গরু মারলে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ৭ বছরের কারাদ-। সংশোধনী এনে সেই শাস্তিকেই বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। জরিমানাও ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ রুপী করা হয়েছে। নয়া আইন অনুযায়ী, গরু পাচার করলে ১০ বছরের কারাদ- হবে। চিরদিনের মতো বাজেয়াপ্ত করা হবে গরু এবং গোমাংস পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি। কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে গোমাংস বিক্রি করলেও। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে এ সংশোধনীসহ পাস হয় বিলটি। বিরোধী কংগ্রেস বিধায়কদের অনুপস্থিতিতেই বিলটি পাস হয়। কারণ তার আগেই অন্য একটি বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেছিলেন তারা। তবে এ আইনের নিন্দা করেছেÑ কংগ্রেস-সিপিএমের মতো দলগুলো। তাদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে গুজরাট সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা অবশ্য বলছেন, এটা গুজরাট সরকারের ব্যাপার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে তারা যা ভালো বুঝেছে, সেটাই করেছে। রূপাণী কয়েক দিন ধরেই বলছিলেন, গবাদি পশুরক্ষায় আরও কঠোর আইন করা হবে।
×