ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৪ এপ্রিল ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

রাতের ঢাকার রূপ অনেকের কাছেই অচেনা, বিশেষ করে মধ্যরাতের ঢাকার চেহারা। নিশি পাওয়া মানুষ নয়, কেবল শখের বশে অনেকে মধ্যরাতে গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে বেরিয়ে পড়েন প্রধান সড়কে। দুয়েকজন বন্ধুকে আহ্বান করেন শয্যা থেকে উঠে পোশাক পাল্টে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে। সমমনা হলে রাতের এই অ্যাডভেঞ্চার জমে ওঠে। টহল পুলিশ গাড়ি দাঁড় করাতেই পারে, বিশেষ করে আজকাল যে অবস্থা চলছে কয়েকটা জঙ্গী হামলার পর। তবে উদ্দেশ্য অসৎ না হলে রাতবিরেতে ‘পাড়া বেড়ানো’ মানুষদের কোন সমস্যা হয় না। এখন ঢাকায় সেহরির সময় বেশ কিছু হোটেলে রীতিমতো ভিড় হয়ে যায়। বছরের অন্য সময়টায় গভীর রাতে ঢাকা শহরে খোলা হোটেল মেলে হাতে গোনা কয়েকটা। সেসব জায়গায় বসে চা-কফি-নাস্তা সেরে নিয়ে আবার রাতের ঢাকার রূপ দেখতে বেরুনো যায়। এইসব জমে রাত দুটোর পরে। তবে যাদের বাড়ি ফিরতে ফিরতে মাঝেমধ্যে রাত বারোটা-একটা হয়ে যায় তারা আংশিক উপভোগ করতে পারেন রাতের ঢাকার সৌন্দর্য। ইদানীং কোন কোন প্রধান সড়কে মধ্যরাতেও যানজটের মুখোমুখি হতে হয়। রাতের ঢাকা নিয়ে এত কথা আসছে সেদিন একটু রাত করে ঘরে ফেরার সময় অচেনা এক ঢাকাকে দেখে। অচেনা এই অর্থে যে সড়কের পুরো অংশ জুড়ে, মানে পনেরো কুড়ি কিলোমিটার জুড়ে আলোকসজ্জার বিষয়টি। বিয়েবাড়িতে একটু বাড়াবাড়ি ধরনেরই আলোকসজ্জা করা হয়। কিছুটা বাহুল্য না হলে জাঁকজমকপূর্ণই বা হবে কিভাবে। তবে সেদিন (শনিবার) মধ্যরাতে রাজপথে আলোকসজ্জা দেখে মনে হলো বিয়েবাড়ির চাইতে কম কী! আলোঝলমল রাজপথ দেখে মহাবিষণœ মানুষেরও মন ভাল হয়ে যাবে। শেষ কবে ঢাকায় এমন বাহারি আলোকসজ্জা দেখেছি, মনে করতে পারলাম না। এই সাজ সাজ রব হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংসদদের সম্মেলন উপলক্ষে, যা শুরু হয়েছে ওই শনিবার থেকে। গত সপ্তাহে ঢাকাবাসীর হৃদয় কেড়েছিল তিনদিনব্যাপী পুষ্পমেলা। শত ধরনের ফুল ও ফুলের চারাগাছের সমাহার ছিল মেলাটি। পুষ্পসজ্জাও যে কত বিচিত্র ও মনকাড়া হতে পারে তার উদাহরণ হয়ে থাকলো ওই ফ্লাওয়ার ফেস্ট। ফুলের গহনায় সেজেছিল নন্দিনীরা। ফুলের মতো শিশুরা দল বেঁধে আনন্দ করেছে। ইট পাথর কংক্রিটের শহরে এমন মনোহর ফুলের মেলা নগরবাসীর জন্য পরম পাওয়া। রাজধানী ঢাকায় প্রথম গোটা বিশ্বের সংসদ সদস্যদের সম্মেলন, অর্থাৎ আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন)-এর সম্মেলন হচ্ছে ঢাকায় প্রথমবারের মতো। ঢাকার ইতিহাস চারশ’ বছরের, আর স্বাধীন দেশের রাজধানীর বয়স প্রায় অর্ধশতাব্দী। তাই প্রথম বারের মতো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণাঢ্য সম্মেলনের জন্য ঢাকাবাসী হিসেবে আমরা গৌরব বোধ করতেই পারি। মনে খুশির রং লাগা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। সেই আনন্দের প্রকাশ ঘটতেই পারে আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে। কিংবা এভাবেই বলা হয়ে থাকে উৎসবের উপলক্ষ হিসেবেই এমন বর্ণিল আলোক-আয়োজন। বিমানবন্দর সড়কে যারা গেছেন তারা দেখেছেন এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে আলোকরেখা দিয়ে রঙিন নৌকোর আদল। এই নৌকোর আদল দেখে বিমানবন্দর থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে গমনকারী বিদেশী সম্মানিত সংসদ সদস্য ও স্পীকার-ডেপুটি স্পীকাররা বার্তা পেয়ে যাবেন যে এটি হলো স্বাগতিক দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের দলীয় প্রতীক। ১২৫ বছরের বনেদি এই সংগঠনটি বিশ্বের সংসদীয় রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। এ সম্মেলন বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি ইতিবাচক বাংলাদেশের পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে। পৃথিবীর নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের সেতুবন্ধন রচনা হবে। উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো আইপিইউ-এর সভাপতি পদে নির্বাচিত হন বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তরুণ প্রজন্মের নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী। বলাবাহুল্য এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বের সংসদীয় সম্প্রদায়ের বড় স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছিল। এইসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর এমপিদের সংগঠন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ১৯৭৩ সালে কমনওয়েলথে যোগদানকারী বাংলাদেশ এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার কর্তৃত্ব পেয়েছে। ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক ফোরামে নারী নেতৃত্বও বিশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ১৭৫টি আইনসভার ৩২১ জন ভোটার ছিলেন। আইপিইউ-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশে হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিশেষ তাৎপর্য আছে। এ সম্মেলনে প্রায় ১৭১টি দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন। এর মধ্যে ৯৫টি দেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকাররা আছেন। উত্তরা মডেল টাউনে প্রথম শহরটা দেখতে দেখতে বাড়ছে। বেড়ে যাচ্ছে এর সীমানা, বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে রাস্তা ঘাট, বাড়ছে গাড়ি, লোকের বাড়ি; বাড়ছে চৌকস, বাড়ছে আনাড়ি। আমাদের প্রিয় শহর ঢাকার বেড়েছে প্রশাসনিক দফতরও। ঢাকা এর ব্যাপ্তির ভারে হয়েছে এক থেকে দুই। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ। শহরের পুরনো অংশ পড়েছে দক্ষিণে আর নতুন অংশ হয়েছে উত্তর। শহর নগরের প্রাণ তার নাগরিক বৈশিষ্ট্যগুলো। সাংস্কৃতিক অঙ্গন আর আচার এক একটা শহরের পরিচয়ের মৌলিকত্ব। শহরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের প্রতিচ্ছবি, আপন ঐতিহ্য আর ঐশ্বর্যেরই বিম্ব। সে ঐশ্বর্য অর্থ-বিত্তের নয়; আপন সংস্কৃতির, ঐতিহ্যের। শাহবাগকে ঘিরে এক বলয়, জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরী, টিএসসি, ব্রিটিশ কাউন্সিল, শিল্পকলা একাডেমি, থিয়েটার হল, বেইলী রোডের নাটক পাড়া, মহিলা সমিতি, আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আছে আরও নানান আর্ট গ্যালারি-মঞ্চ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, খোলা অনুষ্ঠান চত্বর। প্রতিদিন পাঁচ-সাতটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো হচ্ছেই। নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্র কিংবা আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রকাশনা উৎসব, আলোচনা উৎসব, গান-কবিতা, হালে যোগ হয়েছে আরও নানাবিধ বিষয়, নানান উৎসব-উদযাপন। উত্তরায় প্রথম সাধারণের জন্য দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চনাটক হলো শুক্রবার। এ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন উত্তরাবাসী এক লেখক লুৎফুল হোসেন। তিনি লিখেছেনÑ ‘মানুষ বেড়েছে বলে শহরটা ভাগ হলো বটে। এসব সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র আর মঞ্চগুলো তো আর ভাগ করে নেয়া গেল না। ওসব রইল দক্ষিণে, উত্তর হলো বিরাণ কংক্রিট চত্বর। সঙ্গে দিনে দিনে জোরদার হতে থাকল যানজটের প্রাণসংহারী বৈরিতা। উত্তরের মানুষ চাইলেই আর যেতে পারে না নিত্যদিনের ঘটমান এসব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভাগিদার হতে, দর্শক হতে। অথচ সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়া মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের পথ কণ্টকাকীর্ণ। কখনও বলা যায় রুদ্ধ। কিন্তু যাদের সেই তেষ্টা না মিটলে জীবন চলে না- তারা! তারা সময় করে কখনও সখনও যাবার চেষ্টা করে দক্ষিণে আর সেই সঙ্গে ঘরে আঙ্গিনায় যখন যেটুকু সম্ভব কিছু একটা করবার চেষ্টায় তৎপর হয়ে চালিয়ে নিচ্ছিল। শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০১৭ অকস্মাৎ যেন সেই শুষ্ক মরুতে মেঘ ঝরলো বৃষ্টি হয়ে। উত্তরায় হয়ে গেল প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ নাটক। এভাবে বলছি কারণ এর আগে উত্তরায় যে নাটক হয়নি তা নয়, হয়েছে, অবশ্য তা হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের নিজস্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে। নাট্যদল দৃশ্যপট তাদের জনপ্রিয় নাটক ‘সক্রেটিসের জবানবন্দী’ মঞ্চনাটকটি মঞ্চস্থ করল উত্তরার ছয় নম্বর সেক্টরের বিসিক অডিটোরিয়ামে। হ্যাঁ, নাটকের জন্য মঞ্চের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আবশ্যকীয়। তা তো আর সব মঞ্চেই ব্যবস্থায় থাকে না। হোক, তবু থেমে থাকেনি ‘দৃশ্যপট’। উত্তরাবাসীর জন্য মঞ্চস্থ করল ‘সক্রেটিসের জবানবন্দী’ নাটকটির ১৩৭তম মঞ্চায়ন। সাধুবাদ দৃশ্যপটকে সাধুবাদ এর পেছনের ক্রিয়াশীল সব স্বাপ্নিক মানুষগুলোকে। ছোট এই অডিটোরিয়ামের ২শ’ আসন ভরাট করে উত্তরাবাসীও আজ জানান দিয়েছে- কতটা আকাক্সক্ষায় অপেক্ষাতুর ছিল সবাই এমন একটা দিনের জন্য। অনাগত দিনে আজকের উদ্যোগের সিঁড়ি বেয়ে ঢাকা উত্তরে, উত্তরায়, জমে উঠুক সৃষ্টিশীল মানুষের মিলনমেলা। বাড়তে থাকুক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাঞ্জল ব্যাপ্তি। সময় নিশ্চিত উদ্যমীদের এগিয়ে নিয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যাপ্তি ও বিস্তারে।’ কথা-কবিতার বনলতা রিডিংস বইমেলায় প্রকাশিত নতুন বই থেকে নিজের লেখা পড়ে শোনানো, আনন্দময় নিঃসন্দেহে। মিরপুরের পশ্চিম মনিপুরের একটি শিল্পম-িত বাড়ি বনলতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল এমনই এক আয়োজন। বাড়িটিতে আগেও বেশ কটি লেখক-আড্ডা হয়েছে। এবার সেই আড্ডাটিই আরেকটু যেন সুপরিকল্পিত ও অর্থময়। ‘বনলতা রিডিংসে’ একঝাঁক বিভিন্ন বয়সের লেখক নিজেদের রচনা থেকে পাঠ করলেন। সেই রচনা হলো গল্প, কবিতা, অনুবাদ এবং উপন্যাসের অংশবিশেষ। একজন পড়া মানে বাদবাকি সবার শোনা। লেখকদের মধ্যে এভাবে সরাসরি সংযোগও তৈরি হয়। ব্যক্তিগত চেনাজানা থাকলেও এক লেখকের কাছে অপর লেখকের লেখা অপঠিত থেকে যেতে পারে। তাই এ ধরনের আয়োজন থেকে লেখকদের নিজেদের লেখা অপর সতীর্থ লেখকের কাছে সরাসরি তুলে ধরার অবকাশ তৈরি হয়। এটাই বরং তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতে ব্যস্ত ঢাকায় এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাতায়াত কিছুটা ঝক্কিরই বটে। নানা কারণেই লেখকদের আড্ডা কমে এসেছে ঢাকায়। তাই এমন আয়োজনে লেখকের সঙ্গে লেখকের সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক মতবিনিময় কুশল বিনিময়ের সুন্দর একটি সুযোগ মেলে। বনলতা রিডিংসে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের ভেতর লেখক নন এমন পাঠকও ছিলেন, ছিলেন শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক। সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ তাঁর উপন্যাস ‘রূপে তোমায় ভোলাবো না’-র পটভূমি তুলে ধরেন। উপন্যাসের অংশবিশেষ পড়ে শোনান ড. মেখলা সরকার, যাঁর কাছে মনোরোগ চিকিৎসাপেশার বাইরে বনলতা রিডিংস এক পসলা খোলা হাওয়ার মতোই। ড. আকিমুন রহমানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উঠে আসে এই আসরে এসে তাঁর অভিভূত হওয়ার কথাটি। সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘সাক্ষী কেবল চৈত্রমাসের দিন’-এর কাহিনী সংক্ষেপ তিনি তুলে ধরেন। মাহতাব হোসেন সদ্যপ্রকাশিত গল্পের বইয়ের (ঈশ্বরদী বাইপাস) একটি গল্প নিয়ে আলোকপাত করেন। রুবেল রুহুল খান তাঁর নতুন বই ‘ডুবোপাহাড়’ থেকে পড়েন তিনটে নাতিদীর্ঘ কবিতা। আবৃত্তিকার পারভীন রহমান এই কবির একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। তুষার কবির কয়েকটি কবিতা পড়েন কাব্যগ্রন্থ ‘হাওয়াহরিৎ গান’ থেকে। ফরিদ কবির আত্মজীবনী ‘আমার গল্প’-এর ছোট ছোট কয়েকটি গল্প শেয়ার করেন শ্রোতাদের সঙ্গে। পরে দর্শকদের অনুরোধে কবিতাও শোনান। আইরীন সুলতানা তাঁর নতুন গল্পের বই ‘জীবিতের বা মৃতের সহিত সম্পর্কহীন’ থেকে খানিকটা অংশ পড়ে শোনান। সোহরাব সুমন নিজের অনূদিত ইতালীর গল্প সংকলন থেকে শোনান একটি গল্পের অংশবিশেষ। জাহিদ সোহাগ শোনান নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা’-র কয়েকটি কবিতা। জাকিয়া নাজনীন পড়েন তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘পোড়া পাখির খাঁচা’ থেকে বেশ কয়েকটি কবিতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফিরোজ আহমেদ কণ্ঠসমস্যার কারণে কিছু বলায় অপারগ ছিলেন। আর এনায়েত কবীর বই আনতে ভুলে গিয়েছিলেন বলে নতুন লেখা শোনাতে পারেননি। বিজ্ঞানলেখক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী তাঁর সরস বক্তব্যে বলেন, ‘থাকে শুধু অন্ধকার’ বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ হয়েছে এর কারণ হতে পারে পাঠক এটিকে কবিতার বই ভেবেছেন। বইয়ের সারকথাটি শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। ফারহানা মান্নান নিজের লেখালেখি নিয়ে আলোচনা করেন। সায়কা শর্মিন এলিফ সাফাকের ‘ফর্টি রুলস অব লাভ’ থেকে কেন্দ্রীয় চরিত্র এলা আর আজিজের দুটো চিঠি পড়ে শোনানোর আগে বইটি সম্পর্কে ধারণা দেন। সব মিলিয়ে উপভোগ্য আয়োজন। ৩ এপ্রিল ২০১৭ [email protected]
×