ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়েই চলেছে হোয়াইট হাউসের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৩ এপ্রিল ২০১৭

বেড়েই চলেছে হোয়াইট  হাউসের চ্যালেঞ্জ

মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার অনধিকার চর্চা এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার অর্ভিযান ও ক্রেমলিন সহযোগীদের মধ্যে সংযোগ থাকার অভিযোগ নানা ইস্যুতে হোয়াইট হাউস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে বলে মনে হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিম এগুলো নস্যাৎ না করে বিরোধকে তীব্রতর করে তুলছে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে। এটা এমন এক কৌশল যার মাধ্যমে এ সময়ের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সম্ভব হবে না হয়তো। খবর এএফপির। ট্রাম্প তার বরখাস্তকৃত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বৈধ অবস্থানের ওপর এক চমৎকার টুইটার দিয়ে রুশ বিরোধকে চাঙ্গা করেছেন এবং একই সঙ্গে তিনি রক্ষণশীল হাউস ফ্রিডম ককাসের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন। হাউস ফ্রিডম ককাস ওবামা স্বাস্থ্য পরিসেবা বাতিলের ব্যাপারে চরম পরাজয় থেকে তাকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে। ইতোমধ্যে ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদেশে কিছুটা উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে ক্রমেই এবং ট্রাম্প সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন, আগামী সপ্তাহে অন্য এক বৃহৎ শক্তি চীনের নেতা জি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার শীর্ষ বৈঠক কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার টুইটে বলেছেন, আগামী সপ্তাহে চীনের সঙ্গে যে বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে তা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠবে। কারণ, আমরা এত বেশি বাণিজ্য ঘাটতি আর মেনে নিতে পারি না। আসলে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস এখন সমস্যার পাহাড়ে। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান থেকে এ সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে। বরখাস্তকৃত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বিষয়টি সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি এখন কেলেঙ্কারির ব্যাপার প্রমাণে আইনগত দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্টের এক ঝানু উপদেষ্টা ও সিএনএনয়ের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড জার্জেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিন ওই সম্ভাব্য কেলেঙ্কারির জন্য বিঘিœত হয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। জার্জেন বৃহস্পতিবার রাতে সিএনএনয়ের ডন সেমিনকে বলেন, জেনারেল ফ্লিন বলেছেন, তার জন্য দায়মুক্তি মঞ্জুর হলে তিনি সাক্ষ্য দেবেন। তার এ কথায় স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়, আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে যা দেখছি, তা হচ্ছে ধুয়োসহ আগুন ঢেকে দেয়ার চেষ্টা। এফবিআই, কনজারভেটিভ হাউস, সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির কাছে সম্ভাব্য দায়মুক্তির অনুরোধ সম্পর্কে ফ্লিনের আইনজীবীর বিবৃতির কারণে ভীতির সৃষ্টি তো হতে পারেনি বরং ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় পরিস্থিতিতে নতুন করে সঞ্জীবিত করে তুলেছে। ট্রাম্প শুক্রবার ভোরে টুইটে লিখেছেন, মাইক ফ্লিনের দায়মুক্তি চাওয়া উচিত। তা না হলে তা হবে মিডিয়া ও ডেমোক্র্যাটদের জন্য এক উইচ হান্ট।
×