ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নূরানী ডাইংয়ের আইপিও আবেদন শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৩ এপ্রিল ২০১৭

নূরানী ডাইংয়ের আইপিও আবেদন শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অভিহিত মূল্যে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে নূরানী ডায়িং এ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড। রবিবার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ শুরু করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। আইপিওর লট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ শেয়ারে। অর্থাৎ প্রতিটি আবেদনের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। সম্প্রতি ৫৯৭তম কমিশন সভায় নূরানী ডায়িংয়ের আইপিও প্রসপেক্টাস অনুমোদন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি জানায়, আইপিওর মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ইস্যু করতে পারবে কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে উত্তোলনকৃত ৪৩ কোটি টাকা কোম্পানির আংশিক ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেয় নূরানী ডায়িং এ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড। ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তারা কারখানার ইস্পাত কাঠামো ও নির্মাণ কাজ করবে। কেনা হবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪ টাকা ৩৭ পয়সা। বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণীতে গড় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৯ পয়সা। নূরানী ডায়িংয়ের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও সিএপিএম এ্যাডভাইজরি লিমিটেড। কোম্পানির খসড়া প্রসপেক্টাস থেকে জানা গেছে, নূরানী ডায়িং ২০০৫ সালে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা করে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তারা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। কোম্পানিটি নিজ কারখানায় আমদানি করা সুতা রং করে তা থেকে সোয়েটার বোনে। রং করা সে সুতা রফতানিমুখী বন্ডেড পোশাক কারখানাগুলোয়ও বিক্রি করে তারা। নূরানী ডায়িংয়ের কারখানা ফেনীর ফতেহপুরে। নিবন্ধিত অফিস চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে। রাজধানীর বাংলামোটরে তাদের কর্পোরেট অফিস। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা, আইপিওর পর যা ৮৩ কোটিতে উন্নীত হবে।
×