ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে এনবিআরের পাওনা ৫৬ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৩ এপ্রিল ২০১৭

দুই রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে এনবিআরের  পাওনা ৫৬ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোার্টার ॥ জ্বালানি খাতের দুই রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসির কাছে পাওনা প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। আরেক সংস্থা পেট্রোবাংলার কেছে পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকায়। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানাচ্ছেন, রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাগুলোর মাঝে অনাদায়ী প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা সমন্বয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি। দেশের তরল জ্বালানির প্রায় শতভাগ আমদানি করে থাকে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থা। যার অধীনে থাকা তিন প্রতিষ্ঠান তা পৌঁছে দেয় ভোক্তা পর্যায়ে। আর আমদানির ক্ষেত্রে নানা প্রক্রিয়ায় শুল্ক ব্যবস্থা চালু আছে বিপিসির জন্য। যা, আদায়ের পর জমা হওয়ার কথা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। সম্প্রতি ওই সংস্থাকে দেয়া এনবিআরের এক চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে বিপিসি। ফলে, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত শুল্ক কম আদায় হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভোক্তাদের কাছ থেকে তেল বিক্রি করে লিটারপ্রতি সাড়ে নয় টাকা ভ্যাট নেয় বিপিসি। অথচ, তার পুরোটা সরকারী কোষাগারে জমা করেনি সংস্থাটি। ফলে সেখানেও বাড়তি পাওনা দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি টাকা। বিপিসি ছাড়াও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় বড় গড়মিল রয়েছে আরেক সংস্থা পেট্রো বাংলায়। একই চিঠিতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ আদায় করে সোয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা। যা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়নি কোম্পানিগুলো। ফলে ওই টাকার সুদসহ মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে সোয়া ২২ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের রাজস্ব বাবদ চলতি বকেয়া দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা।
×