ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষজ্ঞদের ধারণা

ব্রিটেন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি সময়সাপেক্ষ বিষয়

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২ এপ্রিল ২০১৭

ব্রিটেন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি সময়সাপেক্ষ বিষয়

ইইউ ও ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নির্ভর করছে বিশেষ এক ধরনের আলোচনা ও দরকষাকষির ওপর এবং তা হবে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে আধুনিক ইতিহাসে এক লড়াইয়ের শামিল। কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির। ইইউয়ের সঙ্গে কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের সাম্প্রতিক অবাধ বাণিজ্য চুক্তিগুলো সম্পন্ন করতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লেগেছে। আলোচকরা চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত করতে বেশকিছু ছোট-খাটো তথ্য ও বড় ধরনের দুর্ভোগ সংক্রান্ত বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে সময় লেগেছে আরও দীর্ঘ এবং তা এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তি স্বাক্ষরে প্রচুর সময় নিতে পারে। বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার জন্য প্রতীক্ষায় চুক্তির ভবিষ্যত বিষয়ে কোন ফল বয়ে আনবে না। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, কোন আইনী কার্যকারিতা ব্রিটেনের জন্য মারাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং তা হবে ইইউয়ের জন্যও। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত আইভান রজার্স গত মাসে ব্রিটিশ এমপিদের বলেছেন, ইইউ-ব্রিটেন চুক্তি হবে এখন পর্যন্ত সময়ের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি। ইইউ-কানাডা বা ইইউ-কোরিয়ার মধ্যে যেমন চুক্তি হয়েছে যেগুলোর চেয়ে অনেক ব্যাপক হবে ইইউ-ব্রিটেন চুক্তি। রজার্স জানুয়ারিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদত্যাগ করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবার ইইউয়ের সঙ্গে দু’বছরের বেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তিনি প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেছেন, বেক্সিট বিল ও ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের ভাগ্যের মতো সমস্যাগুলোর অবশ্য মীমাংসা করা হবে প্রথম। কিন্তু ওই সমস্যাগুলোর একবার মীমাংসা হয়ে গেলে ব্রিটেন ও ইইউ সকল বিষয় নিয়ে একটি সুদূরপ্রসারী বাণিজ্য চুক্তির মতো এক নতুন ভবিষ্যত গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। ইইউয়ে অনেকেই সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন।
×