ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে জামায়াত নেতার পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা ॥ জখম ৩

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ এপ্রিল ২০১৭

হবিগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে জামায়াত নেতার পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা ॥ জখম ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১ এপ্রিল ॥ শনিবার ভোরে নবীগঞ্জের মংলাপুর গ্রামে জামায়াত নেতার বাড়িতে ছুরিকাঘাতে তার পুত্র জামিল আহমেদ (২৫) নিহত হয়েছেন। জামিল সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এ সময় ছুরিকাঘাতে তিনজন গুরুতর জখম হন। তারা হলেনÑ আউশকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোস্তফা আহমেদ (৫৫), পুত্র মওদুদ আহমেদ (২০) ও মাসুদ আহমেদ (১৬)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্য এবং পুলিশের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। এমনকি একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছে পুলিশ। জানা যায়, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে জামায়াত নেতা মোস্তফা আহমেদের বাড়িতে ঢুকে ৭-৮ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত। একপর্যায়ে মালামাল লুটের শব্দ পেয়ে জেগে ওঠেন জামিল। এ সময় জামিল এক ডাকাতকে জাপটে ধরলে তার সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ধস্তাধস্তির সময় ডাকাতের মুখোশ খুলে ফেলেন জামিল। তখনই ওই ডাকাত তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে জামিল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যুর আশঙ্কায় কোন মালামাল না নিয়েই দ্রুত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। সংবাদকর্মীদের কাছে এমন বক্তব্যই প্রাথমিকভাবে দেয় পুলিশ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিহতের পারিবারিক সূত্রে থেকে পুলিশ জানতে পারে, একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ওই বাড়ির দরজার তালা ভেঙ্গে গৃহকর্তার শয়নকক্ষে প্রথমে প্রবেশ করে। তারপর জামায়াত নেতা মোস্তফা আহমেদকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাবার চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তার পুত্র জামিল, মওদুদ ও মাসুদ। তিন ভাই একত্রে বাবা মোস্তফাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে এক দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জামিল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং একই সময় অপর দুই ভাইকেও উর্পযুপরি কোপায় তারা। আবার পুলিশ এও বলছে, পূর্ববিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকা-ের ঘটনা। এদিকে পারিবারিক ও পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আর লোকমুখে নানা গুঞ্জনের মাঝে অনেকেরই ভাষ্য, কোন অজ্ঞাত কারণে প্রকৃত তথ্য মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন না করে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের মা আছিয়া বাদী হয়ে ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ওই জামায়াত নেতার বাড়িতেই সশস্ত্র ডাকাতদল হানা দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গিয়েছিল।
×