ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোগ্যপণ্যের বাজারেও স্বস্তি নেই

পহেলা বৈশাখ ঘিরে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১ এপ্রিল ২০১৭

পহেলা বৈশাখ ঘিরে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বৈশাখ সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে ইলিশ মাছের দাম। গত ১১ থেকে ১৭ মার্চ সারাদেশে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হয়। ওই সময় ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। এখন বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে গেছে। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের অংশ হয়ে গেছে। আর এই সুযোগ নিচ্ছে ইলিশ মাছের ব্যবসায়ীরা। নববর্ষ সামনে রেখে দেশী মাছ মজুদের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে ইলিশ মাছ আমদানি করা হয়। তারপরও চাহিদা পূরণ করা যায় না। মাছের দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ পর্যন্ত। গত বছর থেকে নববর্ষ উদ্যাপনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বেসরকারি খাতের কর্পোরেট হাউসগুলোও এ ভাতা প্রদান করছে। ফলে দাম যা হোক নববর্ষে চাই ইলিশ মাছ। এ কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবার আগ্রহ ইলিশ মাছ নিয়ে। ক্রেতাদের কেউ কেউ পদ্মার ইলিশের খোঁজ করছিলেন। পুরান ঢাকার লারমিনি স্ট্রিটের বাসিন্দা চন্দ্রনাথ বসাক মাছ কিনতে এসেছেন ঠাঁটারীবাজারে। তিনি জানালেন, বৈশাখ সামনে রেখে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। যে মাছ আছে সেগুলোও পদ্মার কি-না সন্দেহ রয়েছে। এরপর মাছের দাম আকাশচুম্বী। পহেলা বৈশাখের আগে দামের পারদ কোথায় ওঠে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এদিকে, রাজধানীর ঠাঁটারীবাজার, যাত্রাবাড়ী, ফকিরাপুল ও পলাশী বাজারে প্রতি জোড়া জাটকা সাইজের ইলিশের জোড়া বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এ মাছ এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দু’হাজার টাকায়। এছাড়া বড় সাইজের ইলিশ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানালেন, ইলিশ মাছের দাম বেড়ে গেছে। যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী পরেশ মালাকার জানালেন, বৈশাখ সামনে রেখে প্রতি বছরের এ সময় ইলিশ মাছের দাম বাড়ে। এবারও বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বছরের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বৈশাখে ইলিশ মাছের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে দাম বাড়ে। জানা গেছে, ভোগ্যপণ্যের বাজারেও স্বস্তি নেই। শব-ই-বরাত ও রোজা সামনে রেখে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে কিন্তু দাম অনেক বেশি। ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। স্বর্ণা, ইরি ও পাইজাম জাতের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ টাকায়। এছাড়া সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৬ টাকা পর্যন্ত। মাঝারিমানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৬ টাকায়।
×