ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আট প্রতিষ্ঠানের ২৬ হেলিকপ্টার এখন যাত্রী বহন করছে ;###;উচ্চবিত্তদের গণ্ডি ছাড়িয়ে মধ্যবিত্তরা বাহনটি ব্যবহার করছেন ;###;প্রতিদিন গড়ে শতাধিক যাত্রী চলাচল করেন এসব বেসরকারী বিমানে

কপ্টার সার্ভিস ॥ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১ এপ্রিল ২০১৭

কপ্টার সার্ভিস ॥ জনপ্রিয়  হয়ে উঠেছে

আজাদ সুলায়মান ॥ রিক শিকদার দেশের শীর্ষ কর্পোরেট হাউস শিকদার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার। দেশ বিদেশে তাদের একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কেরানীগঞ্জ, শরীয়তপুর, জামালপুর মংলায় রয়েছে তাদের বিভিন্ন প্রকল্প। রয়েছে নিউইয়র্ক ও থাইল্যান্ডে নানাবিধ ব্যবসা। দেশে যে সময় থাকেন-এক দিনে তাকে একাধিক স্থানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হতে হয়। সকালে মংলায়, দুপুরে শরীয়তপুরে ও বিকেলে জামালপুরের প্রকল্প দেখতে হয়। কিভাবে সম্ভব? অথচ কত সহজেই তা করতে পারছেন হেলিকপ্টারের বদৌলতে। এমন প্রয়োজন থেকেই শিকদার গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেয় হেলিকপ্টার কেনার। শুরুতে কর্পোরেট ব্যবহারিক প্রয়োজনে কেনা হলেও-পরে বাণিজ্যিক পর পর সাতটি হেলিকপ্টার কিনেছে এই গ্রুপ। শিকদার গ্রুপের মতোই দেশের শীর্ষ স্থানীয় আরও আটটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার ব্যবসা চালু করেছে। তারা সরকারের লাইসেন্স নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে তা ব্যবহার করছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের ২৬ হেলিকপ্টার বর্তমানে যাত্রী বহন করছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের অফিসের কর্পোরেট কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহারের পাশাপাশি ভাড়া দিয়েও ব্যবসা করছে। সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে বর্তমানে আটটি কোম্পানি হেলিকপ্টার ব্যবসা করছে। এগুলো হচ্ছে শিকদার গ্রুপের আর এন্ড আর এভিয়েশন, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, বিআরবি এয়ার, মেঘনা এভিয়েশন, পারটেক্স এরোটেকনোলজি,, স্কয়ার এয়ার, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ ও সাউথ এশিয়ান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হেলিকপ্টার রয়েছে শিকদার গ্রুপের। তাদের বিভিন্ন মডেলের ৭টি হেলিকপ্টার রয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন-দেশে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বাড়ছে। এক সময় শুধু উচ্চবিত্তরা দ্রুত গন্তব্যে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন জরুরী প্রয়োজন ছাড়াও আনন্দভ্রমণে এ বাহনটি ব্যবহার করছেন মধ্যবিত্তরা। বেসরকারীভাবে এ খাতটি প্রতিনিয়ত আরও জমজমাট হচ্ছে। অথচ দেশে হেলিকপ্টার চালুর রেওয়াজটা খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৯৯ সালে বেসরকারী উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স। ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাত্র দুটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ সেবা প্রদান করত। বর্তমানে লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় আছে আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি। সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি পেলে চলতি বছরেই আরও একটা কোম্পানি অপারেশন শুরু করবে। এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে-সাধারণত রাজনৈতিক কর্মকা-, বিত্তবানদের বরযাত্রা ও ভিআইপি যাত্রী বহনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার বেশি হয়। এছাড়া জরুরী মিটিং, দেশের বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ানো, লিফলেট বিতরণ, রোগী বহন, শূটিং, লাশ বহনসহ বিভিন্ন কাজেও এখন হেলিকপ্টারের ব্যবহার হচ্ছে। যানজটের ঝামেলা এড়াতে ও ঢাকার বাইরে মিটিংয়ে যেতে অনেক ব্যবসায়ী এখন নিয়মিত হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা সেলিব্রেটিরাও ঢাকার বাইরে দ্রুত যেতে হেলিকপ্টারকেই পছন্দের তালিকায় রাখছেন। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে বিদেশী ক্রেতাদের নিয়ে কারখানা পরিদর্শনে হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করছেন। প্রতিদিনই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার থেকে যাত্রীরা হেলিকপ্টারে ওঠেন এবং এখানেই অবতরণ করেন। প্রতিদিনই গড়ে শতাধিক যাত্রী এসব কোম্পানির হেলিকপ্টারে চড়েন বলে জানা যায়। তিনি বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে, যারা বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়। এ সব হেলিকপ্টার সাধারণত তিন থেকে সাতজন যাত্রী পরিবহন করে। কোম্পানি ভেদে হেলিকপ্টার ভাড়ার তারতম্যও রয়েছে। বুকিংয়ের সময় হেলিকপ্টারের মোট চার্জের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হয়। বাকি ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে উড্ডয়নের আগে। হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ৪৮ ঘণ্টা আগে সিভিল এভিয়েশনকে জানাতে হয়। কারণ হেলিকপ্টারের নির্দিষ্ট কোন রুট নেই। এ কারণে কোন হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করলে টাওয়ারকে প্রস্তুত রাখতে হয়, যাতে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তবে জরুরী প্রয়োজনে ৫, ১০, ১৫ মিনিটের মধ্যেও অনুমতি দেয়া হয়। এদের প্রত্যেকটি কোম্পানিরই নিজস্ব ও অস্থায়ী অপারেট অফিস রয়েছে হজরত শাহাজালাল বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে। এছাড়া রয়েছে নিজ নিজ কোম্পানির কর্পোরেট অফিস। তবে দেশে প্রাইভেট হেলিকপ্টার সার্ভিস গড়ে উঠলেও ভাড়া নির্ধারণে নেই কোন নীতিমালা। আশপাশের দেশগুলোতে এক ঘণ্টার হেলিকপ্টার ভাড়া মিলছে মাত্র ২৫/৩০ হাজার টাকায়। অথচ ঢাকায় সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকার নিচে কারও ভাড়া নেই। মুক্ত প্রতিযোগিতায় যে যা নির্ধারণ করে-তাই মেনে নিতে হয় যাত্রীদের। এক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের করণীয় কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন পরিচালক এফএসআর উইং কমান্ডার চৌধুরী মোহাম্মদ জিয়াউল কবির। বলেছেন- আশপাশের দেশগুলোতে হয়তো হেলিকপ্টারের ভাড়া আমাদের চেয়ে কিছু কম হতে পারে। এটা নির্ভর করে কোম্পানিগুলোর নিজস্ব মার্কেটিং পলিসির ওপর। আর এ্যান্ড আর এভিয়েশন ॥ আর এ্যান্ড আর এভিয়েশনের মহাব্যবসস্থাপক তাসাদ্দুক নূর জানিয়েছেন-তাদের বহরে মোট ৬টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দুটো ৬ সিটের বেল ৪৩০ ও বেল ২৩০। এগুলো ডাবল ইঞ্জিনের ভিআইপি হেলিকপ্টার। যার ভাড়া যথাক্রমে ঘণ্টা প্রতি চার লাখ ও একলাখ ৮০ হাজার টাকা। দুটো ইউরোকপ্টার ইসি ১৩০ মডেলের হেলিকপ্টার- যার আসন সংখ্যা ৭। ভাড়া ১ লাখ ১৫ হাজার। দুটো রয়েছে রবিনসন্স আর ৬৬ মডেল চার আসনের ও রবিসন্স আর ৪৪ মডেলের ৩ আসনের হেলিকপ্টার। প্রথমটির ভাড়া ঘণ্টাপ্রতি ৯০ হাজার ও পরেরটির ভাড়া ৭১ হাজার। এ ছাড়া রয়েছে আরও একটি ভিভিআইপি হেলিকপ্টার। তিনি জানান, কর্পোরেট কাজেই এ কোম্পানির হেলিকপ্টার বেশি ভাড়া হয়। বিয়ে শাদি লিফলেট বিতরণের মতো কাজে ভাড়া দিতে তারা খুব বেশি আগ্রহী নয়। তবে প্রতিদিনই দেশের বিভাগীয় শহরেই বেশি যাচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় এই ঠিকানায়, আর এ্যান্ড আর এভিয়েশান, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কুর্মিটোলা ঢাকা। ফোন নং ৮৯০১৭২৫, হটলাইন- ০১৭৭০৮৬৬০০। দিবারাত্রি এ নাম্বারে জরুরী কথা বলে ভাড়া নেয়া যায়। সবচেয়ে বেশি হেলিকপ্টার থাকলেও আর এ্যান্ড আর এভিয়েশন হেলিকপ্টার ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেখানে নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেখানে তারা এড়িয়ে চলে। এ কোম্পানি আরও দুটো হেলিকপ্টার সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের রয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস। বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ ॥ সর্বশেষ বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ একটি হেলিকপ্টার কিনে আপাতত তাদের নিজস্ব কর্পোরেট কাজে ব্যবহার করছে। এ কোম্পানি এখনও বাণিজ্যিক অপারেশন চালু না করলেও তাদের রয়েছে বড় ধরনের পরিকল্পনা। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জেনারেল এভিয়েশনের হ্যাঙ্গারে তাদের নিজস্ব কোন অফিস না থাকায় নিজেদের উদ্যোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় হ্যাঙ্গার তৈরির কাজ শুরু করেছে। ৫০ একর জমিতে অত্যাধুনিক মানের এই হ্যাঙ্গারে থাকবে একটি পূর্ণ প্রকৌশল ইউনিট। এখানে নিজস্ব হেলিকপ্টারের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারী- বেসরকারী হেলিকপ্টারের যান্ত্রিক সেবা দেয়ারও সুযোগ থাকবে। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার পূর্ব প্রান্তে তিন শ’ ফুুট রাস্তার কোল ঘেঁষে নেয়া এই হ্যাঙ্গার বেসরকারী অন্যান্য হেলিকপ্টার কোম্পানিও ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এ হ্যাঙ্গারের কাজ শেষ হলে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রাথমিকভাবে চারটি হেলিকপ্টার নিজস্ব উদ্যোগে সংগ্রহ করবে। তখন সেগুলো বাণিজ্যিক অপারেশনে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। বর্তমান বসুন্ধরা কর্পোরেট হাউসেই চলছে এয়ারওয়েজের সার্বিক যোগাযোগের কাজ। সাউথএশিয়ান এয়ারলাইন্স ॥ দেশের প্রথম বেসরকারী হেলিকপ্টার সার্ভিসের উদ্যোক্তা সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্সের রয়েছে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের হেলিকপ্টার। বনানী ডিওএইচএস আবাসিক এলাকার ১ নং রোডের ৪০ নং বাড়িতে এ কোম্পানির কর্পোরেট অফিস। কেউ ভাড়া নিতে চাইলে ফোন ৮৮৭২১৫০ ও ০১৭১১ ৪০৪৭৫৪-এ যোগাযোগ করতে পারেন। এদের ভাড়ায়ও রয়েছে তারতম্য। তিন আসনের হেলিকপ্টারের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০ হাজার টাকা প্রতি ঘণ্টা। সঙ্গে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়। ৬ আসনের হেলিকপ্টারের ভাড়া ঘণ্টা প্রতি ১৩০ হাজার টাকা। স্কয়ার এয়ার লিমিটেড ॥ স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের রয়েছে একটি বেল-৪০৭ হেলিকপ্টার, একটি ইউরোকপ্টার ১৩০বি৪ ও ১টি রবিনসন্স আর ৬৬। প্রথমটির প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, রবিনসন্স আর-৬৬-এর প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ৭৫ হাজার টাকা ও শেষেরটির ভাড়া ৬০ হাজার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৮৯০১৩৭৪ নম্বরে। হটলাইন ০১৭১৩১৮৫৩৫২। কর্পোরেট ঠিকানা, স্কয়ার সেন্টার, ৪৮ মহাখালী ঢাকা। বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ॥ ইইউনিয়ন গ্রুপের মালিকাধীন বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স লিমিটেডের রয়েছে দুটো হেলিকপ্টার। তাদের বেল-৪০৭ মডেলের হেলিকপ্টারে প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ১ লাখ টাকা, রবিনসন আর-৪৪ মডেলের হেলিকপ্টারে প্রতি ঘণ্টার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া আরও দুটো হেলিকপ্টার খুব শীঘ্রই যোগ হবে এই বহরে। যোগাযোগ করতে হয় ৬৮/১ গুলশান এভিনিউ। ফোন ৯৮৮৫৭৭১-২। পারটেক্স ॥ আপাতত পারটেক্সের দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে। এ দুটো বেশিরভাগই নিজেদের কর্পোরেট কাজে ব্যবহার করা হয়। নিজেদের কাজের বাইরে সুযোগ থাকলে ভাড়া দেয়া হয়। যোগাযোগ করতে হয় ০১৭১১-৩৩৬৮২৫ এ। মেঘনা এভিয়েশন ॥ কোম্পানির তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। একটি বছর দুয়েক আগে রূপগঞ্জের কাছাকাছি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরেরটি গতবছর কক্সবাজারের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বহন করে ফিরার সময় সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে একজন মারা যায় আর হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এদুটোকে আর উড্ডয়নযোগ্য করা যায়নি। বর্তমানে একটি হেলিকপ্টার রয়েছে। নিজেদের কাজের বাইরেও ভাড়া দেয়া হচ্ছে। যোগাযোগ করতে হয় ফ্রেস ভিলা, হাউজ ১৫, রোড ৩৪ গুলশান ১। ফোন ৯৮৮৯৩০৬, ০১৭৫৫৬০৬৯৫৬ ও ৮৯০১৮০৪। বিআরবি এয়ার ॥ বিআরবি শিল্পগোষ্ঠীর মালিকাধীন বিআরবি এয়ারের রয়েছে দুটো হেলিকপ্টার। ভাড়ায় নিতে হলে যোগাযোগ করতে হয় বাড়ি ১, রোড ১, নিকুঞ্জ -২এ। ফোন ০১৭১৩০৪১৪৪০।
×