ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছবির গল্প ॥ এত্তো বড় মুরগি

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৩১ মার্চ ২০১৭

ছবির গল্প ॥ এত্তো বড় মুরগি

মুরগি নাকি বিলুপ্ত ডাইনোসরের বংশধর! এটা কি জানতেন আপনি? একটা গোবেচারা ধরনের প্রাণী, সে আবার ভয়ঙ্কর ডাইনোসরের বংশ হয় কিভাবে? এ প্রশ্ন যদি আপনার মনে আসে, তাহলে নিচের ভিডিওটি অবশ্যই সে প্রশ্নের একটা যুক্তিসঙ্গত উত্তর দেবে। ভিডিওটি দেখে হলিউডের কোন সাইফাই মুভি বা এ জাতীয় কোন উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যায়। গত দু-তিন দিন ধরে ফেসবুক, টুইটারসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে দানব আকৃতির এক মুরগি নিয়ে খুব সাড়া পড়েছে। ফেসবুক পেজ স্পেজটারিয়া ডেকোরেটিভে প্রথম এই মুরগির ভিডিও আপলোড করা হয়। এর নাম দেয়া হয় মেরাকলি। এরপর টুইটারে এই মেরাকলি নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। কেউ কেউ বলছেন, এটা আসলে মুরগি না, কোন মানুষই মুরগির মতো সেজেছে, বোকা বানানো হচ্ছে সবাইকে। তবে বিশেষজ্ঞরা দানব মুরগির ওই ভিডিও দেখে নিশ্চিত করে বলেছেন যে আসলেই এটা একটা মুরগি। কোন ভিডিও কারসাজি নয়, এটা একটা দানব মুরগি যা দেখে ভয়ও জাগে মনে। ভিডিওতে মুরগির বাসা থেকে একটা বিশাল মুরগিকে বের হয়ে দানবীয় ভঙিতে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। আরেকটা মুরগি লুকিয়ে পড়ছে বাসার পেছনে। এরা ব্রাহমা প্রজাতির মুরগি, যা চীন থেকে আমদানি করে এখন আমেরিকার কিছু এলাকাতেও ফার্মে এদের লালন পালন করা হচ্ছে। এ প্রজাতির মুরগিকে ‘কিং অব অল পোলট্রি’ বলা হয়। ২০ শতকের শুরুর দিকে আমেরিকায় এ ধরনের মুরগির মাংসের চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছিল। আমেরিকার লাইভস্টক কনজারভেন্সি প্রতিষ্ঠানের মতে এ ধরনের মুরগির ওজন ১৪ পাউন্ড ও মোরগের ওজন ১৮ পাউন্ডেরও বেশি হতে পারে। চার সদস্যের একটি পরিবারের লোকেরা এই মুরগির মাংস এক সপ্তাহ ধরে খেতে পারবেন। আহমেদ শরীফ
×