ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৩১ মার্চ ২০১৭

আজব হলেও গুজব নয়

অজগর দিয়ে ঘাড় ম্যাসাজ সেলুনে বা পার্লারে রূপচর্চার খাতিরে যাওয়া এখন নারী-পুরুষের জন্য অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের রূপ লাবণ্য বাড়াতে কত কিছুই না করতে হয়। একেক দেশের সেলুনে কাস্টমারদের মন জয় করতে সেলুনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অফারের কমতি রাখছেন না। তবে কোন সেলুনে অজগর সাপ খদ্দেরদের ঘাড় ম্যাসাজ করে দিচ্ছে, এমন দৃশ্য কেউ কখনও দেখেছেন? সে দৃশ্য এখন দেখা যাচ্ছে জার্মানির এক সেলুনে। ড্রেসডেনে ‘হার মোড টিম’ সেলুনের মালিক ফ্রাংক ডোহলিন। তিনি মন্টি নামের ১৩ বছর বয়সী এক অজগর সাপকে দিয়ে কাস্টমারের ঘাড় ম্যাসাজের কাজ করছেন এখন। ডোহলিন বলেছেন, সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়ে এমন এক ম্যাসাজ টেকনিক দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। এখন এই অজগর সাপ দিয়ে ম্যাসাজের বিষয়টি নাকি বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে তার সেলুনে। সপ্তাহের দুই দিন কাস্টমারের ঘাড় ম্যাসাজের কাজে ব্যবহার করা হয় মন্টিকে। তবে এর জন্য আগে কাস্টমারকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হয়। এরপরই বাসা থেকে ওই অজগরকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ডোহলিন। ৪ ফুট লম্বা অজগরটির শরীরের ৯০ শতাংশই মাংসপেশি, তাই কাস্টমারদের ঘাড় সে খুব ভালভাবে ম্যাসাজ করতে পারে। আহমেদ শরীফ বর্ণমালার স্মৃতিস্তম্ভ আর্মেনিয়ার আর্টাশাভান গ্রামে হাইওয়ের পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্মৃতিস্তম্ভ। অন্য স্মৃতিস্তম্ভগুলো থেকে এগুলো একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এগুলো ৩৯টি বিশাল আকারের আর্মেনিয়ান ভাষার বর্ণের স্মৃতিস্তম্ভ। আর্মেনিয়ান ভাষাভাষী মানুষদের উদ্দেশ্যে এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো উৎসর্গ করা হয়েছে। আর্মেনিয়ান বর্ণমালা ১৬০০ বছরেরও অধিক পুরনো। কিন্তু এখনও এটি তার মূল আদলেই ব্যবহৃত হচ্ছে। আর্মেনীয়রা যেন বাইবেল পড়তে পারে এবং খ্রিস্টধর্ম ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৪০৫ খ্রিস্টাব্দে সেইন্ট মেসরপ মাশতুত নামের একজন আর্মেনীয় ভাষাতত্ত্ববিদ এবং যাজক সর্বপ্রথম এই বর্ণমালার প্রচলন করেন। ৪০৫ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে আর্মেনীয়দের নিজস্ব কোন বর্ণমালা ছিল না এবং এর পরিবর্তে তারা তখন গ্রিক ফার্সি এবং সিরীয় বর্ণমালা ব্যবহার করত কিন্তু সেগুলো তাদের মাতৃভাষার জন্য অনেক জটিল হতো। মেসরপ মাশতুত সর্বপ্রথম বর্ণমালা উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্মেনীয়দের এই জটিল সমস্যার সমাধান করেন। আর্মেনিয়ার রাজার সহায়তায় তিনি প্রথমে ছত্রিশটি অক্ষরের একটি সেট তৈরি করেন এবং পরবর্তীতে আরও তিনটি বর্ণ যোগ হয়। ফলে মোট অক্ষরের সংখ্যা দাঁড়ায় ঊনচল্লিশ। নতুন বর্ণমালা উদ্ভাবনের পর মেসরপ আর্মেনিয়ার সর্বত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে আর্মেনীয় ভাষাতেই শিক্ষা দান শুরু হয়। ৪০৫ খ্রিস্টাব্দে এই বর্ণমালার উদ্ভাবন আর্মেনীয় সাহিত্যের জন্ম দেয় এবং আর্মেনিয়ান জাতীয় সংহতির একটি গঠনমূলক শক্তিশালী ফ্যাক্টর প্রমাণ করে। এটা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে এই নতুন বর্ণমালা আবিষ্কৃত না হলে আর্মেনীয়রা সহজেই পারস্য ও সিরীয় দ্বারা শোষিত হতে পারত এবং এতদিনে আর্মেনীয় প্রাচীন সংস্কৃতি উধাও হয়ে যেত। প্রকৃতপক্ষে এই বর্ণমালা আর্মেনীয় সংস্কৃতি ও নিজস্ব পরিচিত মূল মাপকাঠি হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে আর্মেনীয় বর্ণমালার ১৬০০ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যিনি এই বর্ণমালা উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে আছেন তার কাছাকাছি স্থানে এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো স্থাপন করা হয়। মোখলেছুর রহমান
×