ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে মাটিচাপা যুবককে ৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৩১ মার্চ ২০১৭

পঞ্চগড়ে মাটিচাপা যুবককে ৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সেপটিক ট্যাঙ্কের জন্য গর্ত খননের সময় মাটিচাপা পড়া যুবককে প্রায় ৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ওই যুবককে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত যুবকের নাম ঈশ্বর চন্দ্র রায় (২০), বাবার নাম ঝরেন রায়। বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নয়নি বাকডোকরা এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের সবুজপাড়া এলাকায় বিকেল ৪টায় বাবুল কসাইয়ের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের জন্য গর্ত খননের কাজ করছিল ঈশ্বর চন্দ্র রায় ও একই উপজেলার পশ্চিম বোড়াগাড়ি এলাকার আমদ্দী রহমানের ছেলে রুবেল ইসলাম (২২)। মাটি খুঁড়তে গিয়ে হঠাৎ মাটি ধসে চাপা পড়ে ঈশ্বর চন্দ্র। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রুবেলও মাটির নিচে চাপা পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত রুবেলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ঈশ্বর চন্দ্রকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। স্থানীয়রা শুধু ঈশ্বর চন্দ্রের মাথা পর্যন্ত বের করতে সক্ষম হয়। তার শরীরের বাকি অংশ মাটিতে চাপা পড়েছিল। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রথমে ডোমার ও নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে পঞ্চগড়, বোদা ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরাও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ৮ ঘণ্টা পর রাত ১২টা ২০ মিনিটে জীবিত উদ্ধার করা হয় ঈশ্বর চন্দ্রকে। পরে তাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম তালুকদার জানান, বেশি বালু হওয়ার কারণে গর্তের নিচের অংশ কলসির মতো হয়ে গিয়েছিল। ঝুরঝুরে বালিকাময় মাটি হওয়ায় বারবার ভেঙ্গে পড়ছিল। তাই গর্তের চারদিকে কাঠ ফেলে যুবকের বুক পর্যন্ত মাটি উত্তোলন করা হয়। পরে তাকে টেনে তোলা হয়। উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাত জামান চৌধুরী জজ ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
×