ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩১ মার্চ ২০১৭

ঝলক

বাচ্চা ফোটানোর জন্য মুরগির ডিমে তা ফরাসী শিল্পী আব্রাহাম পোয়েনচভেল। এর আগে পাথর ও দৈত্যাকার বোতলের মধ্যে বাস করে সংবাদের শিরোনাম হন। পাথরের মধ্যে টানা এক মাস বাস করার সময় বিশ্বের বাঘা বাঘা সব গণমাধ্যমে ৪৪ বছর বয়সী এই শিল্পীর সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়। সংবাদ জন্ম দেয়া যেন তার শখ। তবে এই খবরটি সত্যিই চমকপ্রদ। এবার মুরগির ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটানোর শখ জেগেছে তার। যে কথা সেই কাজ। বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের প্রখ্যাত পালে ডি টোকিও নামে একটি জাদুঘরের কাঁচ ঘেরা ঘরে ১০টি ডিমের ওপর বসে পড়েছেন তিনি। পণ করেছেন এই ডিম ফুটে বাচ্চা না বেরোনো পর্যন্ত নড়চড় করবেন না। শরীরের তাপ থেকে ডিম ফোটাতে তাকে এই ঘরে টানা থাকতে হবে অন্তত ২৬ দিন। ডিমে তা দেয়া শুরুর আগে এই শিল্পী বলেন, ‘বুঝিয়ে বলতে গেলে আমি একটা মুরগি হয়ে যাব’। ডিম ফোটানোর জন্য কাঁচের ঘর ছাড়াও নেয়া হয়েছে আরও অনেক ব্যবস্থা। আনা হয়েছে বিশেষ ধরনের চেয়ার। কোরীয় নক্সাবিদ সেগলুই লি তৈরি করেছেন শরীরের তাপ ধরে রাখার জন্য এক ধরনের কম্বল। এ ছাড়া আব্রাহাম হরদম খাচ্ছেন আদা। মাথার ওপর বসানো হয়েছে লাইট। উদ্দেশ্য, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানো। এখানেই শেষ নয়, ডিমে তা দেয়ার সময় সারাদিনে মাত্র ৩০ মিনিট ছুটি পাবেন আব্রাহাম। এ সময়ে খাওয়ার কাজটি সেরে নেবেন। আব্রাহামের মতে, কোন কিছু বুঝতে হলে তা দূর থেকে দেখলেই হবে না। একেবারে ভেতরে চলে যেতে হবে। তবে ডিম ফোটার পর মুরগির বাচ্চারা যদি তাদের মানুষরূপী মাকে চিনতে না পারে, তবে হতাশ হতেই হবে আব্রাহামকে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই শিল্পী একজন মানুষ। তবে অন্যসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে প্যারিস জাদুঘরে রক্ষিত একটি খেলনা ভলুকের ভেতর তিনি কাটান ১৩ দিন। এ ছাড়া প্যারিসের ‘গার্ড ডু নর্ড’ রেলস্টেশনের বাইরে মাটি থেকে ৬৫ ফুট ওপরের একটি পাটাতনে প্রায় এক সপ্তাহ অবস্থান করেন আব্রাহাম পোয়েনচভেল। তবে বিজ্ঞানীদের একটি কথা এই শিল্পীকে চিন্তায় ফেলেছে। ফরাসী প্রাণিবিদরা বলেছেন শেষ পর্যন্ত ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে না। ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।-বিবিসি ও ট্রু এডিশন ডটকম অবলম্বনে গু-া টার্কি! এবার এক গু-া টার্কির খপ্পরে পড়ে অবশেষে যাত্রাবিরতি করতে হলো এক মার্কিন দম্পতিকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েকে রিসিভ করতে দ্রুত যাত্রা করেছিল নিউজার্সির এই দম্পতি। গাড়ি স্টার্ট দিতেই সামনের গ্লাসের ওপর এসে বসে ৩০ পাউন্ড ওজনের একটি ডাকু টার্কি। বসেই গ্লাসের ওপর ঝাপটা-ঝাপটি করতে থাকে। শুধু তাই নয় গ্লাসের ওপর প্রচ- শক্তি দিয়ে ঠোঁকর বসাতে থাকে। গাড়ি চালাতে শুরু করলে এটি লাফ দিয়ে সাইড গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। পরে ওই দম্পতি শহরের নগর পিতার কাছে সাহায্য চান। নগর পিতা এই খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স পাঠায়। পুলিশ এসে ওই ডাকু টার্কিকে কৌশলে আটকে ফেলে। পরে ওই দম্পতি মেয়েকে রিসিভ করার জন্য রওয়ানা হয়।-ইউপিআই অবলম্বনে
×