ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩১ মার্চ ২০১৭

উবাচ

বিদায় স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘জঙ্গী প্রতিনিধি’ আখ্যায়িত করে তাঁকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিদায় জানাতে চান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ‘মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক, নির্বাচনের কথা যতই বলুক, খালেদা জিয়া দুটি জিনিস প্রমাণ করেছেন। তিনি জঙ্গীদের দোসর, সঙ্গী ও প্রতিনিধি, ভয়ঙ্কর খুনীদের সিন্ডিকেট প্রধান এবং সেই সঙ্গে পাকিস্তানীদের নব্য দালাল। তিনি বলেন, ‘আর তাই জঙ্গীদের যেমন নির্মূল ও ধ্বংস করতে হবে, তেমনি জঙ্গী প্রতিনিধি খালেদা জিয়াকেও রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিদায় জানাতে হবে। তখনই কেবল বাংলাদেশে জঙ্গী উৎপাত বন্ধ হবে। দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও শান্তির প্রয়োজনে এর কোন বিকল্প নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জঙ্গীদের পক্ষ নেয়াটা কি কোন কৌশলগত অবস্থান কি না? আমি মনে করি এটা কৌশলগত অবস্থান নয়, এটা একটা আদর্শিক, নীতিগত অবস্থান। সজ্জন ব্যক্তি স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথমে তো বলা হলো উনি তো জনতার মঞ্চের মানুষ। সরকার বেছে বেছে নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়েছে। আর ইনি ঠিক উনার মতোই বা কোন কোন ক্ষেত্রে তাকেও অতিক্রম করে যাবেন। নূরুল হুদা নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেয়ার পর বিএনপির তরফ থেকে এসব কথা বলা হয়েছিল। আর এসব কথা যিনি সব থেকে বেশি বলেছেন তিনি বিএনপির মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসব কথা তো আগে থেকেই মানুষ জানে, রাজনীতির জন্য বাইরে যতই যা বলা হোক না কেন। আলোচনায় বসে বলতেই হয়, আমরা নানা সময়ে নানা কথা বলব আপনারা প্লিজ কিছু মনে করবেন না। আর এটাই নাকি রাজনীতি। সাদাকে সাদা না বলে কালো বলা আবার কেমন রাজনীতি! যাই হোক এবার অন্তত কিছুটা হলেও বদল হয়েছে। মনোভাব পাল্টেছে দলটি। বিশেষ করে কুমিল্লা নির্বাচনের আগে সিইসি যখন একা কথা বললেন বিএনপির সঙ্গে তখনই রিজভী বেরিয়ে এসে জানালেন, না উনি তো লোক ভাল, আহা কি ‘সজ্জন’ ব্যক্তি। শুধু কি এই রিজভী বললেন, সিইসি একজন সজ্জন ব্যক্তি, চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় উপনীত হয়েছেন। এ ধরনের একজন মানুষ কখনই অবান্তর কথা বলবেন না। জানতে চাই স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঠিক এক সপ্তাহ আগেই তিনি বলেছিলেন, এই সব জঙ্গী টঙ্গি আমি বিশ্বাস করি না। সব নাকি সরকার সৃষ্ট। মূল উদ্দেশ্য জঙ্গী নাটক করে বিএনপিকে ঠেকিয়ে রাখা। এখন তিনি প্রশ্ন করছেন এই সব জঙ্গী কোথা থেকে আসছে তা জাতি জানতে চায়। মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাজধানীর হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গী নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চিত করার পরও জঙ্গী কোথা থেকে আসছে তা জনগণ জানতে চায়। খন্দকার মোশাররফ বলেন, জঙ্গী একটা শেষ হচ্ছে, আরেকটা শুরু হচ্ছে। কারণ জানতে চাই আমরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা, আগে তো আপনি গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ওই ঘটনার পর বলেছিলেন, আমরা এই দেশ থেকে জঙ্গীবাদ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি। আর জঙ্গী নাই। তো এগুলো কোথা থেকে আসছে এটা জনগণের প্রশ্ন।
×