ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্কু বিজয়ী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩১ মার্চ ২০১৭

সাক্কু বিজয়ী

আরাফাত মুন্না/ মীর শাহ আলম, কুমিল্লা থেকে ॥ সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবাধ ও শান্তিুপূর্ণ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আবারও জয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। অন্যদিকে ১১ হাজার ৮৫ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা হেরেছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী কুমিল্লা সিটির ২৭ ওয়ার্ডে ১০৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১০১ কেন্দ্রের ফলাফলে সাক্কু পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট। অন্যদিকে সীমা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৬৬ ভোট। স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ৫ হাজার ১৮৩। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। নগরীর টাউন হলে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন ম-ল। বৃহস্পতিবার শুধু কুমিল্লাবাসী নয়, সারাদেশের মানুষ দেখল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের সাবলীল আয়োজন। কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার পাশাপাশি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভোট গণনা শেষে বেসরকারী ফলও ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের। ফল ঘোষণার পর গভীর রাত অবধি বিজয় উৎসবে মেতে থাকেন সাক্কু সমর্থকরা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার পরাজয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করেন। অন্যদিকে নির্বাচন চলাকালে সীমা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে। সকালে ভোট দেয়ার পর ফলাফল মেনে নেবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার কুমিল্লাবাসীর সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের মানুষেরই দৃষ্টি ছিল এই নির্বাচনের দিকে। কেমন ভোট হয়, গভীর আগ্রহ নিয়ে তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। নানা আশঙ্কার কথাও শোনা যাচ্ছিল ভোট শুরুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কেটে যায় সকল শঙ্কা। নিরাপদে ভোট দিতে পারার বার্তা পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামে ভোটারদের। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেন কুমিল্লাবাসী। ভোটের এই ডামাডোলের মধ্যেই নিজ প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের ব্যালট পেপার দেখিয়ে অন্যরকম খবরের জন্ম দেন মেয়র প্রার্থী সাক্কু। নাসিক সিটি নির্বাচনে একই কাজ করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, যা নিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। রিটার্নিং অফিসারের দেয়া তথ্য মতে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৪০ জন ও ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বেসরকারী ফল অনুযায়ী ২৭ কাউন্সিলর পদের মধ্যে বিএনপির ১২ জন, আওয়ামী লীগের ১১, জাতীয় পার্টির তিনজন ও বাসদের একজন নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে কিছু উপ-নির্বাচন ও ছোট কয়েকটি উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ শেষ হলেও নতুন কমিশনের জন্য এই কুসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বর্তমান ইসির তৎপরতা ছিল ব্যাপক। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ায় ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল স্বস্তির ভাব। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় সব ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মোঃ নুরুল হুদা। ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যার পরপরই টাউন হলের নগর মিলনায়তন মাঠে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফল ঘোষণার জন্য অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে দুই পক্ষের সমর্থকের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফল আসতে শুরু করলে সাক্কু সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় কান্দিরপাড়। সীমা ও সাক্কু ভোট দিলেন নিজ কেন্দ্রে ॥ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কুমিল্লা মর্ডান স্কুলে ভোট দিতে আসেন আওয়ামী লীগের মেয়র পার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। ভোট দেয়া শেষে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। আমি সকালে বেরিয়ে ছিলাম, বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম- সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করেছে। আশা করি দিনের বাকি অংশেও এ পরিবেশ থাকবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ৪৬ বছর বয়সী সীমা বলেন, কর্মীদের উদ্দেশে আমি বলব, জয় পরাজয় থাকবেই, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব, এবং তারাও মেনে নেবেন। পরে দুপুরের দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। অন্যদিকে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে নবাব হোচ্ছাম হায়দার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। ভোট দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। নির্বাচন এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নয়। এই অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সদর দক্ষিণ বিএনপির এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরে যাব কেন, রেজাল্ট দেখি। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। জঙ্গী আস্তানার কাছে নির্ভয়ে ভোট দিয়েছে নারীরা ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগেরদিন নগরীর সদর দক্ষিণের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘেঁষে কোটবাড়িতে জঙ্গী আস্তানার খোঁজ পাওয়ার পর দেশজুড়ে উদ্বেগ শুরু হলেও একটু দূরের কেন্দ্রে নির্ভয়ে ভোট দিয়েছেন নারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে কুল্লিমায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বর্তমানে কোটবাড়ি এলাকার জঙ্গী আস্তানার ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তবে সকাল থেকেই ওই বাড়ির পাশে গন্ধমতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। সেখানে ৭ ভোটকক্ষে নারীরা সারিবদ্ধভাবে ভোট দেন। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এসএম মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এখানে ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৬৪। বেলা পৌনে দুইটা পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে ১০ ককটেল ॥ কুমিল্লা নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভল্লবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে রাস্তার পাশে ১০ ককটেল পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কর্মকর্তা মামুন আবদুল হান্নান বলেন, কে বা কারা পলিথিনে মুড়িয়ে নয় ককটেল ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরনো মহাসড়কে ফেলে রাখে। আরেকটি খোলা পড়ে ছিল। বেশকিছু সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ককটেলগুলো উদ্ধার করে র‌্যাব। দুই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ॥ ১০৩ কেন্দ্রের মধ্যে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অনিয়মের অভিযোগে দুইটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্র দুটি হচ্ছেÑ কুমিল্লা সরকারী সিটি কলেজ ও চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা কেন্দ্র। ভোটগ্রহণের মাঝপথে দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোট স্থগিতের তথ্য জানান। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুমিল্লা সরকারী সিটি কলেজ কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৭২ পুরুষ ভোটার রয়েছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৯০০ ভোট পড়ে। এ কেন্দ্রের পরিস্থিতি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে যে ভোট পড়েছে তা আর গণনা হবে না, বাতিল হয়ে যাবে। এমন তথ্য ইসি জানিয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রের বাইরে তিনটি হাতবোমা ফাটানো হয়। এ সময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই কেন্দ্রে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অন্যদিকে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ তারিফুজ্জামান ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের কথা জানান। তিনি বলেন, এ কেন্দ্রের পরিস্থিতি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হয়ে যাওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে এ কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৪৮৩ জন। নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত ॥ জাল ভোটের তথ্য সংগ্রহের সময় নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বাবু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা মডার্ন স্কুল কেন্দ্রে ডিবিসি টেলিভিশনের রিপোর্টার কুমুকে লাঞ্ছিত করেন বাবু। সাংবাদিক কুমু জানান, জাল ভোট দিতে আসা দুইজনকে কেন্দ্রের ভেতর হাতেনাতে ধরেন তারা। এরপর তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবু এই কা- ঘটায়। পরে পুলিশ বাবুকে আটক করে বলে জানান এই সাংবাদিক। কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোট ॥ নেউয়ারা এম.আই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০১ জাল ভোট বাতিল করা হয়। এই কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌকায় গণসিল মারতে দেখা যায়। গণমাধ্যমকর্মীরা যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে ব্যালট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় কিছু ব্যালট পেপার এদিক-ওদিক পড়ে যায়। এছাড়া নগরীর অশোকতলা ইছহাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে প্রায় ১ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বেলা ২টার দিকে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপক ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার প্রায় দুই হাজার বেশি। বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সরেজমিন পরিদর্শনকালে নগরীর সদর দক্ষিণ থানার তারা পাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কুমিল্লা সরকারী সিটি কলেজ কেন্দ্র, বাগিচাগাঁও বড় পুকুর পাড়, সাকতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই রোদ উপেক্ষা করে নারীদের দীর্ঘ লাইন ধরে ভোট দানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের একটি সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রশাসন কুমিল্লা জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত কুমিল্লা মহানগরীর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকা- পরিচালনা করে থাকে। এই সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম প্রায় ৫৩ দশমিক ০৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২৭ ওয়ার্ডজুড়ে। কুমিল্লা মেগাসিটির মধ্যে বিস্তৃত, যার আওতায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। এই প্রতিষ্ঠানটিতে আগে কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা নামে দুটি পৌরসভা ছিল। ২০১১ সালের ১০ জুলাই তারিখে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক অধ্যাদেশ জারি করে পৌরসভা দুটিকে একটি সিটি কর্পোরেশনের মর্যাদা দেয়। পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করলে তারে দলে নেয়া হয়।
×