ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিটব্যাকে’ ৭–৮ জন নিহত

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ৩০ মার্চ ২০১৭

নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিটব্যাকে’ ৭–৮ জন নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার ॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় সাত থেকে আটটি মরদেহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। ওই জঙ্গি আস্তানায় সোয়াটের অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি। এর আগে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানার নিয়ন্ত্রণ নেয় সোয়াট। মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযান শেষে ওই ভবনের ভেতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন যে মানবদেহের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব অংশ দেখে মনে হয়েছে যে সাত থেকে আটজনের দেহের অংশবিশেষ হতে পারে। পুরুষ, নারী ও দু-একজন অপরিণত বয়সীর দেহের অংশবিশেষ ছিল। দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তাঁদের ধারণা, যখনই জঙ্গিরা দেখেছে যে পালিয়ে যাওয়ার পথ নেই, তখন তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে। তবে পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা কাজ শেষ করলে লাশের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরও জানান ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ এর নাসিরপুর অংশ শেষ হয়েছে। এখন সোয়াট সদস্যরা বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা যাবে। সেখানে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রাতে অভিযান চালাবে কী না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে রাতে অভিযান চালাতে না পারলে শুক্রবার সকালে অভিযান চালাবে সোয়াট। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা একটা সূত্র ধরে কাজ করছিলাম। নিহত ব্যক্তিরা নব্য জেএমবির সদস্য, সেটা আমরা মোটামুটি নিশ্চিত।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বাসার তত্ত্বাবধায়কের তথ্যমতে, ওই ভবনে নিহত ব্যক্তিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তবে পুলিশ সে তথ্য যাচাই-বাছাই করতে পারেনি। এর আগে বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল জানান, নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সোয়াট। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও গতকাল বুধবার ভোরে মৌলভীবাজারের পৃথক দুটি স্থানে দুটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করে ঘিরে রাখে পুলিশ। একটি বাড়ি মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে অবস্থিত। অন্য বাড়িটির অবস্থান শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামে। রাতের বিরতি ও ভোরের বৈরী আবহাওয়ার কারণে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ছেদ পড়েছিল। আবহাওয়ার বৈরী ভাব প্রশমিত হলে আজ নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ফের অভিযান শুরু হয়।
×