স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) টি২০’র এবারের দ্বিতীয় আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন দীর্ঘদেহী পেসার মোহাম্মদ ইরফান। অধিকতর তদন্ত শেষে বুধবার তাকে এ শাস্তি দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ রুপী জরিমানাও করা হয়েছে। পিএসএল চলাকালে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অভিযোগ ওঠে ইরফানের বিরুদ্ধে। এরপর কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে তাকে পিসিবির কাছে জবাবদিহি করতে বলা হয়। কিন্তু বোর্ডের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন এবারের আসরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই পাকিস্তানী তারকা ক্রিকেটার।
নিষিদ্ধ হওয়ার পরই ইরফানের কানে পানি ঢোকে। বুধবারই করাচীতে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি তো জুয়াড়িদের ডাকে সাড়া দেইনি। হ্যাঁ বোর্ডকে না জানিয়ে অপরাধ হয়েছে। কিন্তু ওই সময় মায়ের মৃত্যুর কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। ভুলটা তাই ইচ্ছাকৃত নয়। তবু ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিন তারকা সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। ইরফানকে কিন্তু সুযোগ দেয়া হয়েছিল। পিসিবির পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে। কিন্তু বোর্ডের সেই প্রস্তাবেও তখন রাজি হননি ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে চার টেস্ট, ৬০ ওয়ানডে ও ২০ টি২০ খেলা দ্রুতগতির বোলারকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। পিএসএলের এবারের আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরফান ছাড়াও নিষিদ্ধ হয়েছেন চার পাকিস্তানী ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টের শুরুতেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইসলামাবাদের দুই ওপেনার শারজিল খান এবং খালিদ লতিফ। এরপর একই অভিযোগে নিষিদ্ধ হন শাহজাইব হাসান ও নাসির জামসেদ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: