ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ছেলে ও খুলনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩০ মার্চ ২০১৭

টাঙ্গাইলে ছেলে ও খুলনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ টাঙ্গাইলে মা তার ছেলেকে ও খুলনায় স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো। টাঙ্গাইল ॥ হযরত আলী (২৮) নামে এক ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মা হামেলা বেগম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হয়রত আলী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, হয়রত আলী একজন মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। রাতে তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মা হামেলা বেগম কুড়াল দিয়ে ছেলের মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে মা লাশটির পাশেই সারারাত বসেছিল। দুপুরে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে। খুলনা ॥ খুলনায় পারিবারিক কোন্দলের জেরে স্বামীর পিটুনিতে তাসলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোরে পুলিশ কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মদিনাবাদ গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাসলিমার স্বামী হযরত আলী গাজীকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের হযরত আলী গাজীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মদিনাবাদ গ্রামের আবুল গাজীর মেয়ে তসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। পরে হযরত আলী গাজী দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে তসলিমা বাপের বাড়ি চলে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে হযরত আলী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাত ৮টার দিকে স্বামী-স্ত্রী রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যান। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে হযরত আলী স্ত্রী তসলিমাকে বেদম মারপিট করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সে মারা যায়। এলাকাবাসী ঘটনাটি টের পেয়ে হযরত আলীকে আটক করে রাখে। চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্য উদয়ের পর পুলিশে চাকরি নেয়া মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। বুধবার দামপাড়া পুলিশ প্যারেড ময়দানে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৬৭ মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা স্মারক গ্রন্থ ‘ভাস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথির আলোচনায় ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ও সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপপুলিশ কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ। প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অংশগ্রহণ যেমন রয়েছে তেমনি পুরো দেশবাসীর সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস আমরা পালন করছি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
×