ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় তাল পাতার পাখায় দুইশতাধিক পরিবারের জীবিকা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ মার্চ ২০১৭

মাগুরায় তাল পাতার পাখায় দুইশতাধিক পরিবারের জীবিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ২৯ মার্চ ॥ মাগুরার পাখাপল্লী বর্তমানে সরগরম। তালের হাতপাখা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। তাদের এক মুহূর্ত অবসর নেই। মাগুরার তৈরি তালের হাতপাখা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে দুই শতাধিক পরিবারের মৌসুমি কর্মসংস্থান হয়েছে। জানা গেছে, মাগুরার শিবরামপুর, নিজনান্দুয়ালী, সংকজখালী, শক্রুজিৎপুর, আড়পাড়া, বিনোদপুর, পারিয়াট, ধনেশ্বরগাতি প্রভৃতি গ্রামে তালের হাতপাখা তৈরি হয়। এসব গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার পাখা তৈরির সঙ্গে জড়িত। প্রথমে তাল পাতা কেটে রোদে শুকিয়ে তার সুতা দিয়ে বাঁশের শলা দিয়ে সেলাই করে তৈরি করা হয় তালের হাতপাথা। তার রং করা হয় সুন্দরের জন্য। ফাল্গুন মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাখার মৌসুম। একজন শিল্পী প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০/৬০টি পাখা তৈরি করতে পারেন। প্রতিটি পাখা তৈরিতে খরচ পড়ে গড়ে ১০ টাকা বিক্রি হয় ১৫/ ২০ টাকা। অন্য জেলা থেকে পাইকাররা এখানে এসে পাখা ক্রয় করে নিয়ে যায়। মাগুরা পাখার মোকামে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে গরম পড়ায় পাখা শিল্পীদের এক মুহূর্ত বসার সময় নেই। পাখা শিল্পীদের বেশিরভাগ মহিলা। তারা দৈনিক ৩/৪শ’ টাকা আয় করে থাকেন। শিবরামপুর পাখা শিল্পী রতœা খাতুন জানান, বর্তমানে তালের পাতার সঙ্কট রয়েছে। প্রতিটি তাল পাতা ৫ টাকা করে ক্রয় করে আনতে হয়। এর পর কেটে রেদে শুকাতে হয়। তারপর বাঁশের শলাকা, সুতা ও রং দিয়ে খরচ পড়ে ১০টাকা। প্রতিটি পাখা ১৫/২০ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতিটি পাখায় ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ থাকে। তারা সংসারের কাজের পাশাপাশি এই কাজ করেন। বাউফলে দম্পতিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৯ মার্চ ॥ কাছিপাড়া গ্রামে সংখ্যালঘু এক দম্পতিকে ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ঝন্টু সরদার ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী রানী খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মী রানীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি দেখতে পান ঘরের উত্তরপাশের একাংশে আগুন জ্বলছে। ওই জায়গায় লাকড়ি রাখা ছিল। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। লক্ষ্মী রানী অভিযোগ করেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
×