ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাশিপের সমাবেশ

শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত ॥ ড. রাজ্জাক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩০ মার্চ ২০১৭

শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত ॥ ড. রাজ্জাক

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত। শিক্ষকরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে ২০৩১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ। ড. রাজ্জাক বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে বলা হতো দুর্ভিক্ষের জাতি আর তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই দেশ আজ সারা বিশে^র জন্য রোল মডেল। বাংলাদেশ দরিদ্র থাকবে নাকি দ্রুত উন্নত দেশ হবে সেটা নির্ভর করছে জাতির বিবেক শিক্ষকদের ওপর। এক সময় শিক্ষকদের তেমন বেতন ছিল না। তাঁদের জীবন ছিল অত্যন্ত কষ্টের। বর্তমানে এর বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের সূচনা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই প্রথম সকল প্রাইমারী স্কুল জাতীয়করণ করেছেন এবং শিক্ষকদের সরকারী বেতনের আওতায় আনেন। তিনি আরও বলেন, বিদেশী সাহায্যের ওপর বাংলাদেশ এখন আর নির্ভরশীল নয়। বরং এখন বাংলাদেশ বিদেশীদের সাহায্য করছে। গত পাঁচ বছরে আমাদের এক টন চালও আমদানি করতে হয়নি। বরং আমরা বিদেশে রফতানি করেছি। বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল পদ্ধতির দরকার নেই। আগে বইয়ে কোথাও সৃজনশীল ছিল না। আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী বিশ্বের দু-একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতি দেখে এখানে এসে এটা চালু করেছেন। মাল্টিপল চয়েস ৪০ নাম্বার এটা কোথা থেকে আবিষ্কার হয়েছে আমি জানি না। অনেক কষ্টে এ জাতি নকল বন্ধ করেছে। আবার এমসিকিউ, এবিসিডিতে দাগ দিয়ে ৪০ নম্বর! আমি সবাইকে দোষারোপ করছি না। এটা ১০ বা ৫ নম্বর থাকতে পারে। ৪০ নম্বর থাকার কি দরকার? এর বদলে ছোট ছোট প্রশ্ন থাকতে পারে। এর দ্বারা একজন ছাত্রকে ভাল করে যাচাইও করা যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে। আধুনিক শিক্ষার জন্য যে অবকাঠামো প্রয়োজন সেটা আমরা অর্জন করতে পারিনি। সার্বিক আধুনিক শিক্ষার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার তার জন্য সরকারকে আরও বেশি অনুদান দিতে হবে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, দেশ উন্নত হচ্ছে, সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই উন্নত দেশের পাশাপাশি আপনারা উন্নত সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। তবে আপনাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও আপনাদের সচেতন হতে হবে। অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাজেটে শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছেন। তিনি সপরিবারে নিহত না হলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হতো না। বাংলাদেশ আরও আগেই উন্নত দেশ হতো। তিনি বলেন, বিশ^বাসী আজ বাংলাদেশ[েজঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশক প্রশংসা করছে। বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। সমাবেশে দেশের প্রতিটি জেলার স্বাধীন শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা জাতীয়করণ, ৫% প্রবৃদ্ধি, বৈশাখী উৎসব ভাতা প্রভৃতি দাবি তুলে ধরে সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান করেন।
×