ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের উন্নয়নে নৌকার বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ মার্চ ২০১৭

দেশের উন্নয়নে নৌকার বিকল্প নেই

অভিজিৎ রায়, ফরিদপুর থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ফরিদপুরের বিশাল জনসভায় ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কার কোন বিকল্প নেই। নৌকা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক। নৌকায় ভোট দিলে বাংলার মানুষ কিছু পায়। জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ভাষা পেয়েছে, ’৭০ সালে নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুন। বুধবার বিকেলে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি ছেলেমেয়েও যেন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকাসক্তিতে না জড়ায়, সে জন্য বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। লাখো লাখো মানুষের প্রাণের দাবি মেনে নিয়ে অচিরেই বৃহত্তর ফরিদপুরকে বিভাগ করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বড় বিভাগকে ভেঙ্গে আমরা নতুন বিভাগ তৈরি করেছি। ঢাকা বিভাগকে ভেঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগ করা হয়েছে। তেমনি ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর নিয়ে বর্তমান সরকারের পৃথক বিভাগের পরিকল্পনা রয়েছে এবং তা অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিবের বন্ধু আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত জঙ্গীবাদ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। নৌকায় ভোট দিলেই মানুষ কিছু পায়। নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই এ দেশের মানুষ ১৯৪৮ সালে যে রাষ্ট্রভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই ভাষার মর্যাদা পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস করেছে। আওয়ামী লীগই শহীদ মিনার গড়ে তুলেছে। সত্তরের নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় উপস্থিত লাখো মানুষের কাছে নৌকায় ভোট দেয়ার অঙ্গীকার চাইলে জনতা দুই হাত তুলে তার প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অঙ্গীকার চাই। একই সঙ্গে নৌকা মার্কার জন্য মানুষের কাছে ভোটও চাইবেন।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ আমাদের পথ নয়। ইসলাম এটি সমর্থন করে না। আত্মহননের পথও ইসলাম পছন্দ করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, পবিত্র ধর্ম। অথচ ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করে ইসলামকে কলুষিত করা হচ্ছে। জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ফরিদপুর সদর আসনের এমপি খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও আবদুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কায়সার, ফরিদপুর কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খোন্দকার, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আক্কাস হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হাবিব-ই-মিল্লাত এমপি ও শেখ হেলাল এমপিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া জনসভায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের বিভিন্ন জেলার নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণও উপস্থিত ছিলেন। নিজের বক্তব্যে ফরিদপুরবাসীকে বঞ্চিত ও অবহেলিত আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরবাসী বঞ্চিত ও অবহেলিত। আমি ফরিদপুরবাসীর জন্য আজ অনেক উপহার নিয়ে এসেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একে একে ১ হাজার ৩৫ কোটি লাখ টাকা ব্যয়ে শেষ হওয়া ফরিদপুরে ১৯টি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া ৪২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অচিরেই এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তব্যে পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক স্বৈরশাসকসহ বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও দুঃশাসনের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরবাসীও ভুলে যায়নি বিএনপি-জামায়াত কী অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল তারা। বাংলাভাইসহ জঙ্গীবাদও সৃষ্টি করেছে তারা। মানুষের সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের ভাগ্য গড়ে তুলেছে। এ দেশের মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখানেই থেমে থাকেনি। এ দেশে সবসময়ই অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে তারা। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাদের রাজনীতিই হচ্ছে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পোড়ানো। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা তরেছে। হুকুম দিয়েছেন কে? খালেদা জিয়া তার অফিসে বসে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। খালেদা জিয়া না-কি সরকার উৎখাত না করে ঘরে ফিরে যাবেন না। কিন্তু তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণই যখন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তখন খালেদা জিয়া নাকে খত দিয়ে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে তার সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। মানুষের কল্যাণ ও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের একটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। ইনশাআল্লাহ আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবো।’ এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের উন্নয়নে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ফরিদপুর চিরদিনই অবহেলিত ছিল। হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী বেলা পৌনে ১২টায় ফরিদপুর শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। তাকে স্বাগত জানান এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ও পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা। স্টেডিয়াম থেকে সার্কিট হাউসে গেলে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেন পুলিশের চৌকস দলের সদস্যরা। সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে মেয়ে পুতুলের শ্বশুরবাড়ি শহরের বদরপুরের আফসানা উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা পৌনে একটার দিকে পুতুলের শ্বশুর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সদর উপজেলার বদরপুরের বাড়ি আফসানা মঞ্জিলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। পুতুল ও তার স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির স্বজনেরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীকে। জামাই বাড়িতে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবস্থানকালে সেখানে মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও জোহরের নামাজ আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিশ্রাম নিয়ে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের ফরিদপুর শহর শাখার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলে রওনা হন। প্রধানমন্ত্রীর খাবার তালিকায় মুরগির কোরমার পাশাপাশি খাসি ও গরুর মাংস পরিবেশন করা হবে। মাছের রান্নার মধ্যে সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চিতল মাছের কোপ্তাসহ রোয়াল, কই, শিং, আইড়, চিংড়ি ও কাচকি মাছের চচ্চরি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া কয়েক ধরনের ভর্তা, সবজি, দই, মিষ্টি পায়েশও ছিল খাবারের তালিকায়। জনসভাস্থলে উপস্থিত হয়েই ফরিদপুর জেলার ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিশাল এ জনসভায় ফরিদপুর সদর আসনের এমপি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ফরিদপুর বিভাগ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন হবে বলে ঘোষণা দিলে জনসভায় উপস্থিত লাখো মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন এবং গগনবিদারী সেøাগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগের জনসভায় জনস্রোতে কয়েক ঘণ্টার জন্য যেন থমকে গিয়েছিল পুরো ফরিদপুর জেলা শহরটি। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ ছাপিয়ে চতুর্দিকে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকার দীর্ঘ পথই ছিল লোকে লোকারণ্য। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এত মানুষের স্থান সঙ্কুলান হবে না এটা আঁচ করতে পেরেই মঞ্চের চতুর্দিকের দীর্ঘ পথে শত শত মাইক টাঙ্গিয়ে দেন আয়োজকরা। আট বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফরিদপুর সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রত্যাশার চেয়েও দ্বিগুণ মানুষের স্রোতে শুধু রাজেন্দ্র কলেজ মাঠই নয়, পুরো ফরিদপুরই যেন পরিণত হয়েছিল বিশাল সমাবেশে। রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ ছাপিয়ে জনসভায় আসা মানুষের স্রোত স্টেডিয়াম চত্বর, মুজিব সড়ক, ঝিলটুলী এলাকা, আলীপুর, ডিসি অফিস চত্বর, কোর্ট পাড়া, চৌরঙ্গীর মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। একগুচ্ছ প্রকল্প উপহার ফরিদপুরবাসীকে ॥ ফরিদপুর সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৯টি প্রকল্প কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উদ্বোধন করা ১৯টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছেÑ ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প, শিশু একাডেমি নির্মাণ প্রকল্প, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফরিদপুর নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্প, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল নির্মাণ প্রকল্প, সদর উপজেলাধীন চর কমলাপুর খেয়া ঘাট হতে বিল মামুদপুর স্কুল সড়কে কুমার নদের ওপর ৯৬ মিটার দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প, ভাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস নির্মাণ প্রকল্প, বিএসটিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ভাঙ্গা থানা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নির্মাণ প্রকল্প, সদর উপজেলা হতে বাখু-া জিসি হয়ে রসুলপুর ভায়া চর নিখুর্দি সড়ক বিসি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সিডাঙ্গি কমিনিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৩৩/১১ কেভি হাড়োকান্দি বিদ্যুত উপকেন্দ্র প্রকল্প। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ॥ কুমার নদ পুনঃখনন প্রকল্প, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আলফাডাঙ্গার নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, পুলিশ অফিসার্স মেস নির্মাণ প্রকল্প, সালথা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, চন্দ্রপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস নির্মাণ প্রকল্প, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্মাণ প্রকল্প, ১ হাজার ৫০০ আসনবিশিষ্ট মাল্টি পারপাস হল নির্মাণ প্রকল্প, সালথা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প এবং সদরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নির্মাণ প্রকল্প।
×