ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর ঘোলা পানি ও সাদা পানি -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৩০ মার্চ ২০১৭

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর ঘোলা পানি ও সাদা পানি -স্বদেশ রায়

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে এক শ্রেণীর রাজনীতিক এবং মিডিয়া পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আবার ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন যে অবস্থানে তাতে সফরের তরীটির সাদা পানির সাগর পাড়ি দেয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। শেখ হাসিনার আসন্ন এ ভারত সফরের সব থেকে সাদা দিকটি হলো, বড় বড় অনেক বিষয়ে দুই দেশের সরকারের অবস্থানের মিল আছে। সব ক্ষেত্রে মিল থাকবে এমনটি কখনই কোন দেশ অন্য দেশের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে আশা করে না। তাছাড়া দুটি দেশের ভেতর যখনই কোন আলোচনা হয়, যখনই দুই দেশের রাষ্ট্রনায়ক বা কয়েক দেশের রাষ্ট্র নায়ক নিজ নিজ স্বার্থে আলোচনা করেন- তখন সব থেকে বড় হয়ে দেখা দেয়, বুদ্ধিমত্তা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কে কত বেশি আদায় করতে পারেন। প্রতিটি দেশই তার নিজ স্বার্থ আগে দেখবে। ভারত ও বাংলাদেশের এই শীর্ষ পর্যায়ে যখন আলোচনা হতে যাচ্ছে, এ সময়ে বাংলাদেশের প্লাস পয়েন্ট, বাংলাদেশের নেত্রী শেখ হাসিনা অনেক বেশি যোগ্য ও দৃঢ়চেতা রাষ্ট্রনায়ক। তিনি নিজের দেশের স্বার্থ থেকে এক চুল পেছান না বা ছাড় দেন না। তাছাড়া সরকার পরিচালনায় তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। তিনি কতটা অভিজ্ঞ তার ছোট একটি নমুনা ইতোমধ্যেই দেশবাসী পেয়েছেন। এই সফরকে ঘিরে গত কিছুদিনে দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিক ও কিছু প্রভাবশালী পত্রপত্রিকা বেশ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তারা জানে যে কথাগুলো তারা বলছে অর্থাৎ তথাকথিত সামরিক চুক্তি, তিস্তা ছাড়া সফর ব্যর্থ হবে বা দুই দেশের রয়েছে আস্থার সঙ্কট- এগুলো সবই তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত। তারা মূলত চাচ্ছে, এই সফরের আগে তাদের এই উস্কানিতে পা দিয়ে শেখ হাসিনা এমন কিছু বলুক যাতে সফর শুরুর আগেই সফর ঘিরে যথেষ্ট পানি ঘোলা করা যেতে পারে। শেখ হাসিনা সে ফাঁদে পা দেননি। আর যারা এ ফাঁদ পাতার চেষ্টা করছেন তারা মূলত শেখ হাসিনাকে পরিমাপে ভুল করছেন। তবে হ্যাঁ, ভারত ও বাংলাদেশের ভেতর এখনও তিস্তা একটি সমস্যা। তিস্তায় কত পানি আছে। সিকিম জলবিদ্যুত করার পরে কত পানি কোন্ সময়ে তিস্তায় আসে এগুলো সঙ্গে নিয়ে তিস্তা দুই দেশের মধ্যে সমস্যা। সত্যি অর্থে তিস্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, তিস্তা পারের মানুষের ফসল ও জীববৈচিত্র্য বাঁচাতে হলে সিকিম থেকে বাংলাদেশ অবধি এই দীর্ঘ নদীপথটি নিয়ে একটি গঠনমূলক ও কার্যকর অবস্থানে ভারত ও বাংলাদেশকে পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুরু থেকেই তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানও পরিষ্কার। তিস্তাকেন্দ্রিক ভারতীয় রাজ্য সিকিমও বাস্তবমুখী। শুধু বাস্তবমুখী নন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার নাচার হলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয় না। তার পরেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে এক্ষেত্রে আরও সোচ্চার হতে হবে মমতা ব্যানার্জীর এই অহেতুক একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে। তাকে বাধ্য করতে হবে। তাছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার শেখ হাসিনার আসন্ন এ সফরে তিস্তা নিয়ে কোন ফ্রেমওয়ার্কের ভেতর আসতে পারে কিনা সেটাও তাদের এখন খুঁজতে হবে। তিস্তা গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই, তার পরেও তিস্তার ভূমিকা আঞ্চলিক। এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গঙ্গার মিষ্টি পানির বিষয়টি। গঙ্গার ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অবস্থানটি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশের অবস্থানের সঙ্গে মিলে যায়। এখানে একটুখানি নিজের কথা বলতে হয়, নীতিশের অনেক আগেই অর্থাৎ ২০০৪ সালে প্রকাশিত আমার ‘মুনিয়ার চোখ’ উপন্যাসের নায়ক ও নায়িকা শুষ্ক পদ্মার চরে কনসার্ট করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য। সেখানে তাদের ডায়ালগে এসব এসেছে, নেহরুর মতো শিক্ষিত মানুষ কীভাবে ফারাক্কা বাঁধ অনুমোদন দিয়ে এমনভাবে পরিবেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, একদিন অবশ্যই ভারতের বিহার রাজ্যের ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জনগণ ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার দাবি তুলবে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ যেমন বলেছেন, তেমনি পশ্চিমবঙ্গের অনেক নদী বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যে বলছেন। ২০১০ কি ২০১১তে একটি সেমিনারে পশ্চিমবঙ্গের একজন বিশেষজ্ঞ সম্ভবত মি. পান্ডা, তিনি যেভাবে পরিসংখ্যান দিয়ে ফারাক্কা বাঁধ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের কী কী ক্ষতি করছে তা উল্লেখ করেছিলেন। তাতে স্পষ্ট ছিলÑ তিনি ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার পক্ষে। এগুলো যখন ছাত্র-জনতার ভেতর ছড়াবে তখন পরিবেশ পরিস্থিতি ভিন্ন হতে বাধ্য। যা হোক, এগুলো ভবিষ্যতের বিষয়, শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে শেখ হাসিনা ও মোদিকে গঙ্গা ব্যারাজ নিয়ে একটি বাস্তবমুখী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। গঙ্গার এই স্বাদু পানি ধরে রাখা ও তা শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো একান্ত প্রয়োজনীয়। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুরে যে প্রকল্প ১৯৬৩ সালে নেয়া হয়েছিল, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যেতে হবে। এ মুহূর্ত অবধি ব্যয় ৪ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি বলে হিসাব করা হয়েছে এ প্রকল্পের। পরবর্তীতে কিছু বাড়বে। এই অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে ভারত যাতে বাংলাদেশকে দেয় সে বিষয়টি মোদি সরকারকে দেখতে হবে। এর পরেও রয়েছে গঙ্গার পানি নিয়ে আরেকটি অবস্থানে পৌঁছানোর বিষয়। ভরা বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ফারাক্কা দিয়ে যাতে ভারত বেশি পরিমাণ পানি ছাড়ে তার একটি নিশ্চয়তায় দুই দেশকে পৌঁছাতে হবে। গঙ্গা ব্যারাজ যেমন শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিতে নানা ধরনের বিপ্লব আনবে, তেমনি বাংলাদেশের সুন্দরবন রক্ষা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও আমনসহ অন্যান্য ফসলের জন্য এই ভরা বর্ষার আগে থেকে গঙ্গার মিষ্টি পানি একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে যারা রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা যে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন করছেন নাÑ মূলত উন্নয়ন ঠেকাতে আন্দোলন করছেন তার প্রমাণ লবণ পানি নিয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই। গ্রীষ্মের শেষ ও বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত লবণ পানি আসে। এ নিয়ে তাদের নেই কোন মাথাব্যথা। চার দশক হতে চলেছে, যথেষ্ট পরিমাণ মিষ্টি পানি সমুদ্রবাহী নদীগুলোতে নামে না। যার ফলে এ সময়টিতে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়েছে বেশি। এগুলো নিয়ে রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রিক আন্দোলনকারীরা কথা বলেন না। যা হোক, ফসল ও জীববৈচিত্র্যের স্বার্থে গঙ্গা ব্যারাজের পাশাপাশি ফারাক্কার পানি প্রবাহ বাড়ানোর দিকটি অর্থাৎ ৫৫ হাজার কিউসেক পানি যাতে পুরোপুরি আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে এটা বাড়ানোর বিষয়টি ভাবতে হবে। শেখ হাসিনা যে সময়ে ভারতে যাচ্ছেন তখন তাঁর দেশে একের পর এক জঙ্গীবিরোধী অপারেশন হচ্ছে। সিলেটের আতিয়া মহলের অভিযান সফল হয়েছে কিন্তু প্রাণ দিতে হয়েছে দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসারদের। এই লেখা যখন লিখছি তখন মৌলভীবাজারে জঙ্গীর বিরুদ্ধে অপারেশন চলছে। বাংলাদেশে এই যে জঙ্গী একে যদিও সরকার বলে হোমগ্রোন, তবে মূলত এটা বাংলাদেশের কাঁচামালেÑ বাংলাদেশের ভেতরের কারখানায় পাকিস্তানী যন্ত্রে তৈরি। তাই বাংলাদেশের জঙ্গীকে ‘মেডইন পাকিস্তানী জঙ্গী’ বললেই সঠিক বলা হবে। বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীর এ মুুহূর্তের জঙ্গী সমস্যা নিয়ে যারা কম-বেশি খেঁাঁজখবর রাখেন, পড়াশোনা করেন তারা সকলেই জানেন, বাংলাদেশের এই জঙ্গীদের নেটওয়ার্ক শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা ভারত বাংলাদেশ মিলে। তবে একক নেটওয়ার্কে তারা এসেছে, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বাংলাদেশকে নিয়ে। ভারতের অপর রাজ্য ত্রিপুরা তাদের করিডর হিসেবে কখনও কখনও ব্যবহৃত হয়। এ কারণে সিলেটে যে ধরনের ঘটনা ঘটল এর থেকে বড় ঘটনা অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে। তাই, দুই দেশকে জঙ্গী প্রশ্নে একটা সঠিক অবস্থানে আসতে হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে জঙ্গী প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের ওপর সেই আধিপত্য বিস্তার করতে হবে। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া পানি ঘোলা করার চেষ্টা করতে একটি তথাকথিত সামরিক চুক্তির কথা বলছে। এ তাদের পানি ঘোলা করা ছাড়া আর কিছু নয়। দুঃখজনক হলো, মিডিয়ার অংশ হয়ে যেখানে সম্পাদক থাকে অর্থাৎ সোশ্যাল ফোরাম নয়, সেখানে এসব কথা আসে কীভাবে? সামরিক সহযোগিতা ও সামরিক চুক্তি এক নয়। পৃথিবীতে সব খানে সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে এ সহযোগিতা থাকে। এই সহযোগিতাগুলোর ভেতর থাকে সমরাস্ত্র কেনাবেচা, পারস্পরিক ট্রেনিং, নিজ নিজ সামরিক বাহিনীকে উন্নত করতে মহড়ায় অংশ নেয়া, পারস্পরিক একাডেমিক জ্ঞান ও শিক্ষা বিনিময়। এ ধরনের সহযোগিতাÑ আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ব্রিটেনসহ অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আদান প্রদান আছে। অন্যদিকে এখন যা জরুরী হিসেবে দেখা দিয়েছে তা হলো, জঙ্গী সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় ও প্রয়োজনে দুই দেশে একই সঙ্গে অপারেশন চালানো। এর পরে আসন্ন সফরে বড় বিষয় হলো বাণিজ্যিক দিকটি। বিশেষ করে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য অবাধে ঢুকতে দেয়া। মোদি সরকারকে এখানে পৌঁছাতেই হবে। এতে ভারত ও বাংলাদেশ সমান লাভবান হবে। সত্যি বলতে কি, এক অর্থে ভারত লাভবান হবে বেশি। কারণ, বাংলাদেশের সব পণ্য যদি ভারতে যায় তারপরেও ভারতের ৫% বাজার নেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। অথচ ভারতের এই ৫% বাজার পেলে বাংলাদেশে ছোট পণ্য তৈরির জোয়ার আসবে। ওই জোয়ারের যাবতীয় যন্ত্রপাতি ভারতই যোগান দিতে পারবে। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ট্যাক্স ধরে যে আয় করে তার থেকে ১০ গুণ বেশি আয় করতে পারবে এই যন্ত্রপাতি রফতানি করে। এছাড়া বাংলাদেশের পণ্য অবাধে তাদের দেশে ঢুকলে তাদের সেভেন সিস্টারের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও সুন্দর হবে; যা ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য লাভের এবং সুনামেরও। শেখ হাসিনা ও মোদি আঞ্চলিক বাণিজ্যের এই নতুন যুগের স্রষ্টা হিসেবেও এই সফরের ভেতর দিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। তবে আঞ্চলিক এই বাণিজ্য ও সহযোগিতাকে অবশ্যই শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। ভারত ও বাংলাদেশের বন্ডেজ দৃঢ় রেখেই তাদের নেপাল, ভুটান, চীন, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানকে নিয়ে এগোতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা বিপদ ডেকে আনবে। এর ভেতর আফগানিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের ভেতর বাণিজ্যিক যোগাযোগের জন্য কতটা সড়ক ও রেল যোগাযোগ গড়া যায়, আবার নৌপথে কীভাবে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপকে যোগ করা যায় তা দেখা প্রয়োজন। কারণ, সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা সবকিছু সঙ্গে নিয়েই চীন, ভারত ও বাংলাদেশকে এখন এই নতুন অর্থনৈতিক বলয় গড়তে হবে। চীনের পাকিস্তান কেন্দ্রিক একটা স্বার্থ আছে। তবে চীনকেও এখন বুঝতে হবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থান পরিবর্তন না হলে বাস্তবে তারা লাভবান হবে না। এই সঠিক বিবেচনা সামনে রেখে চীনকে এখন এগোতে হবে। তবে এটা বলা যায়, হাসিনা-মোদি বৈঠক ছাপিয়ে যেতে পারে দুই দেশের বাইরেও। কারণ, ভারত এমনকি বাংলাদেশও এখন আঞ্চলিক নেতৃত্ব দেয়ার অর্থনীতি নিয়েই পথ চলছে। আঞ্চলিক বাণিজ্যিক দিকগুলো এ ধরনের শীর্ষ বৈঠকে এ কারণেই গুরুত্ব পাবে। [email protected]
×