ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আতিয়া মহলে নিহতদের একজন জঙ্গী মুসা, নিশ্চিত করল পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ মার্চ ২০১৭

আতিয়া মহলে নিহতদের একজন জঙ্গী মুসা, নিশ্চিত করল পুলিশ

রশিদ মামুন/সালাম মশরুর, সিলেট থেকে ॥ সিলেটে নিহত চার জঙ্গীর একজন নব্য জেমবির প্রধান মাঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। নব্য জেএমবির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তামিম এবং মেজর (অব) জাহিদ পুলিশের অভিযানে নিহত হওয়ার পর এই মুসাই নব্য জেএমবির হাল ধরেছিলেন। আতিয়া মহলের মালিকের কাছে থাকা ছবির সঙ্গে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে থাকা মুসার ছবির হুবহু মিল থাকায় নিহত চার জঙ্গীর একজন মুসা বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে জঙ্গী আস্তানা আতিয়া মহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনা সদস্যরা ফিরে গেছেন। সন্ধ্যায় সিলেট সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলন করে অপারেশন টোয়াইলাইটের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে জঙ্গী মর্জিনাকে শনাক্ত করতে বান্দরবান থেকে তার পরিবারের লোকজনকে সিলেটে আনা হচ্ছে। এদিকে শঙ্কার সিলেটে স্বস্তি ফিরেছে। সোমবার কার্যত অপারেশন টোয়াইলাইটের প্রথম অধ্যায় শেষের পর মঙ্গলবার দিনভর জঙ্গীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলে। জঙ্গী নিধনের সফল অভিযানের পর সিলেটের সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। নগরীর দক্ষিণ সুরমার ‘আতিয়া মহল’-এ টানা পঞ্চম দিনের অভিযানে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জঙ্গীদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। এদিন অপর দুই জঙ্গীর সুইসাইডাল ভেস্ট অপসারণ করে পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও আতিয়া মহলের চারপাশের বাসিন্দারা বাড়িঘরে ফিরতে পারেননি। যথারীতি ১৪৪ ধরা বলবৎ রাখা হয়েছে। ভয়ঙ্কর বলেই সাধারণ মানুষকে আতিয়া মহলের কাছে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। বোমা নিষ্ক্রিয় করার মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চারটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের গোপনীয় শাখার সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান মুসা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জনকণ্ঠকে জানান, আমারা দুটি ছবি মিলিয়ে দেখে মনে করছি নিহত জঙ্গীদের মধ্যে নব্য জেএমবির প্রধান মুসা রয়েছে। এদিকে সিলেট পুলিশের উপ-কমিশনার জিদান আল মুসা জানান, নিহত জঙ্গীদের মধ্যে একজন মুসা বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে জানান তিনি। জঙ্গী অভিযান চলার সময় সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, সিলেটে জঙ্গী আস্তানায় মুসা বা জিয়ার মতো ভয়ঙ্কর জঙ্গী থাকতে পারে। এর পরদিনই মূলত সিলেটের জঙ্গীদের মধ্যে মুসা থাকার কথা জানানো হলো। মঙ্গলবার রাত আটটার পর সিলেট সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলন করে সদর দফতরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান অপারেশন টোয়াইলাইটের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পুলিশ এবং সোয়াট জঙ্গীদের ঘিরে রাখার মধ্যে সেনাবাহিনীকে অপারেশনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ড দল এবং ১৭ পদাতিক বাহিনী অভিযানে অংশ নেয়। অপারেশনের দুটি অংশ ছিল। এর মধ্যে প্রথম অংশ শনিবার দুপুরে শেষ হয়। বৈরী আবহওয়া উপেক্ষা করে ৭৮ জনকে বের করে আনা হয়। এর মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২১ শিশু ছিল। তিনি জানান, পুরো ভবনে জঙ্গীরা বিস্ফোরক লাগিয়ে রেখেছিল। মঙ্গলবারও আতিয়া মহলের বিভিন্ন তলা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এদিন ঘটনাস্থলেই জঙ্গীদের গায়ে লাগানো সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এখানে আরও বিস্ফোরক রয়েছে। পুলিশ সেগুলো নিষ্ক্রিয় করবে। তিনি জানান, সোমবারই মূলত অপারেশন শেষ হয়। তবে সবকিছু নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও একদিন সময় নেয়া হয়। তিনি বলেন, এখানে যারা ছিলেন তারা বেশ প্রশিক্ষিত। তারা বিস্ফোরক বানাতে পারত। এখানকার ৩০টি ফ্ল্যাটের ১৫০টির বেশি কক্ষ রয়েছে। এখানে আলামত সংগ্রহের কাজ করবে পুলিশ এবং র‌্যাব। তিনি অপারেশনে সহায়তা করার জন্য এলাকাবাসী এবং সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, নব্য জেএমবির অন্তত দুজন প্রধান নিহত হওয়ার পরপর মুসা নব্য জেএমবিকে গোছানোর চেষ্টা করছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গী আস্তানায় অভিযানের পর আলোচনায় আসেন মাঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা। ওই আস্তানা থেকে মুসার স্ত্রী ও জাহিদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ওই অভিযানের পর থেকেই মুসাকে খোঁজা হচ্ছিল। তবে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় মুসাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা কলেজে ইংরেজী সাহিত্য বিভাগে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী শেষ করে মুসা উত্তরার লাইফ স্কুলে যোগ দেন। মুসা ওই স্কুলটির চাকরি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছেড়ে দেন। তিনি স্কুলটিতে ইংরেজী বিষয় পড়াতেন। মুসার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায়। তিনি উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের বুজরুককোলা গ্রামের আবুল কালাম মোল্লার ছেলে। মুসার বাবা আবুল কালাম মোল্লা মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। মুসা গ্রামে খুব কম যাতায়াত করতেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ খুব একটা ছিল না। তবে এলাকায় ভাল ছাত্র হিসেবে মুসার পরিচিতি ছিল। এই রাজশাহীর বাগমারাতেই জেএমবি নেতা বাংলাভাইয়ের উত্থান ঘটে। পুলিশ বলছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে বেড়ে ওঠা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলাভাইয়ের অনুসারী ছিলেন এই মুসা। বাংলাভাই গ্রেফতারের পর মুসা আত্মগোপনে চলে যান। পরে নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নেন মুসা। মুসা নব্য জেএমবির জন্য বিস্ফোরক যোগাড় করার পাশাপাশি বিভিন্ন হামলার ছক আঁকতেন। মুসার নির্দেশেই সারাদেশে হামলা চালাত নব্য জেএবি। রাজধানীর আজিমপুরের জঙ্গী আস্তানায় অভিযানের পর তানভীর কাদরীর ছেলে ও মেজর (অব) জাহিদুল ইসলামের মেয়ে দুজনই মুসা আঙ্কেল নামের একজনের কথা বলেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মুসা নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাদের একজন। পরে তিনি নব্য জেএমবির প্রধানের দায়িত্ব পান। সোমবার রাতেই দুই জঙ্গীর পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ। নগরীর মোগলবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ফজল ওই দিন রাতেই জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেন, আত্মঘাতী জঙ্গীদের একজন মর্জিনা বেগম। অপরজন তার স্বামী আবু কাউসার বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মর্জিনা নামেই আতিয়া মহলের নিচতলা ভাড়া নেয় এ নারী জঙ্গী। যেহেতু এ অপারেশনে একজন নারীই নিহত হয়েছে তাই ধরে নেয়া হচ্ছে সে-ই মর্জিনা। মঙ্গলবার সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে লাশ দুটির ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তর আগে লাশ দুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। পুরুষ লাশটির সুরতহাল করেন মোগলবাজার থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা এবং নারীর লাশের সুরতহাল করেন একই থানার এসআই সুজন দত্ত। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ওই পুরুষের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। তার গোলাকার মুখম-ল ছিল আগুনে পোড়া। মাথায় সামান্য চুল ও মুখে কিছু দাড়ি ছিল। তার পরনে ছিল কালো জামা ও দুই পায়ে ছিল কালো জুতা। লাশের বুক থেকে তলপেট পর্যন্ত পুরোটাই ছিল ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। বাঁ পায়ের মাংস গোড়ালির টাকনু পর্যন্ত কাটা ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা লাশটি একজন জঙ্গী সন্ত্রাসীর লাশ বলে প্রতীয়মান হয়। উক্ত জঙ্গী সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নিজে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিহত নারী সম্পর্কে সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর দৈর্ঘ্য আনুমানিক চার ফুট। তার মুখম-ল ছিল পোড়া, মাথায় সামান্য চুল দেখা গেছে। দুই হাত ও দুই পায়ের গিরা পর্যন্ত সম্পূর্ণ দেহ পোড়া ছিল। একটি পায়ে সামান্য মাংস আছে এবং পায়ের তালুর নিচে আনুমানিক দুই ইঞ্চি কাটা। বুক ও পা দেখে বোঝা গেছে লাশটি একজন নারীর। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাশটি একজন জঙ্গী সন্ত্রাসীর স্ত্রীর এবং গোপনীয়ভাবে জানা যায়, ওই নারী নিজেও একজন জঙ্গী-সন্ত্রাসী দলের সদস্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নিজের গায়ে নিজে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সিলেট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, জঙ্গীদের বিষয়ে সকল তথ্য কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সমন্বয় করছে। জঙ্গী দমনে পুলিশের এ বিশেষ ইউনিটের নির্দেশেই সিলেটের আতিয়া মহলে প্রথম অভিযান চালানো হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট থেকে বলা হয়েছিল আতিয়া মহলের নিচতলায় কয়েকজন জঙ্গী থাকতে পারে। এজন্যই শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আতিয়া মহল ঘিরে ফেলে সিলেট পুলিশের একটি বিশেষ দল। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার দুই জঙ্গীর শরীরের সঙ্গেই সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা ছিল। অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যায় সেনা সদর দফতরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান অপর দুজনের শরীরেও সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা থাকার কথা জানান। এতে পরিষ্কার, চার জঙ্গীই প্যারা কমান্ডোদের অভিযানের মধ্যে আত্মঘাতী পন্থা বেছে নেয়। পুলিশের ধারণা সঠিক হলে চট্টগ্রামের সীতাকু-ের প্রেমতলার জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সঙ্গে আতিয়া মহলের একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সীতাকু-ে জঙ্গী আস্তানায় নিহত জোবাইদার বোনই এই মর্জিনা বেগম। সীতাকু-ে জঙ্গী আস্তানায় তার স্বামী কামাল উদ্দিন নিহত হয়। এরা সকলেই বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা। জোবাইদা এবং মর্জিনার আরেক ভাই জহিরুল হক জসিম ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে সীতাকু- পৌর সদরের নামার বাজার এলাকার সাধন কুটির থেকে ১৫ মার্চ বিকেলে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ এবং ১৮ মার্চ সীতাকু-ে অভিযান চালানো হয়। সে সময় থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জোবাইদার বোন মর্জিনা বেগম কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনিও জঙ্গী সম্পৃক্ত বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হয়। এর পরপরই ২৩ মার্চ দক্ষিণ সুরমার এই বাড়িটি ঘিরে অভিযানে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার শিববাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে আতিয়া মহলে যাওয়ার পথের মুখেই পুলিশী প্রহরা বসানো হয়েছে। প্রশাসন এবং সংবাদমাধ্যম ছাড়া আর কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট সীমা পেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকেও ভেতরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। এখানের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আতিয়া মহলে বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে ড্রোন ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। ড্রোনের সাহায্যে মঙ্গলবার আতিয়া মহলের ভেতরের ছবি তোলা হয়। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন থাকলেও তারা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো ড্রোন এ কাজে ব্যবহার করছে। বাড়ির ভেতরে কোথায় বিস্ফোরক রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও সোমবার ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেই সেনাবাহিনী প্রতিটি তলায় তল্লাশি চালায়। মঙ্গলবার বিকেলে সেনা সদস্যরা আতিয়া মহল ছেড়ে যান। এ সময় পুলিশের কাছে আতিয়া মহলকে হস্তান্তর করা হয়। তবে পুলিশ আতিয়া মহলকে এখনও ঘিরে রেখেছে। আজ বুধবার ঢাকা থেকে বিশেষ দল সিলেট পৌঁছলে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করবে। এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকু-ে পুলিশের হাতে নিহত জঙ্গী জুবাইদা ইয়াসমিনের বোন মনজিয়ারা পারভিন ওরফে মর্জিনা বেগমই সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গী আস্তানায় নিহত ‘মর্জিনা বেগম’ কিনা তা নিশ্চিত হতে পরিবারের সদস্যদের সিলেট আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় পুলিশ বান্দরবান থেকে তাদের নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্রে জানা যায়, মনজিয়ারা বেগমের জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল। তার বাবার নাম নুরুল আমিন, মায়ের নাম সাবেকুর নাহার। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ২৭৮নং বাইশারি মৌজার অংশ ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
×