ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু ‘একুশ’কে জিম্মায় দেয়ার আদেশ আজ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৯ মার্চ ২০১৭

চট্টগ্রামে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু ‘একুশ’কে জিম্মায় দেয়ার আদেশ আজ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ড্রেনে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক ‘একুশ’ কে কোন মায়ের জিম্মায় দেয়ার আদেশ হবে আজ বুধবার। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে মঙ্গলবার সম্পন্ন হয় শিশুটিকে পেতে করা আবেদনগুলোর শুনানি। বিচারকের ধার্য করা তারিখ অর্থাৎ বুধবারই নির্ধারিত হবে একুশের ভাগ্য। নবজাতক একুশকে পেতে আবেদনপত্র জমা পড়ে মোট ১৬টি। এরমধ্যে ১২টি আবেদনের শুনানি হয়। বাকি চার আবেদনকারী শুনানিতে অনুপস্থিত থাকেন। আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, পুরুষ নয়, কোন মায়ের হাতেই তুলে দেয়া হবে শিশুটিকে। সে হিসেবে নারীর করা আবেদনই অগ্রাধিকার পাবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি এমএ ফায়েজ জানান, কোন পুরুষ আবেদনকারী একুশকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। নারীদের মধ্যেও যার মা হওয়ার সম্ভাবনা নেই অথবা নিঃসন্তান দম্পতির হাতে নবজাতকটিকে তুলে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে আদালত জানিয়েছেন, শিশুটিকে দত্তক দেয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। কারণ, তার তো বাবা মা রয়েছে। আদালত শুধু কারও জিম্মায় দেয়ার এখতিয়ার রাখে, তাও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। এরমধ্যে যদি প্রকৃত বাবা-মা এসে সম্মতি দেয় তবেই শুধু ১৮ বছর পর্যন্ত রাখা যাবে। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর শিশুরও মতামতের বিষয় থাকে। আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে ‘দত্তক’ শব্দটি উল্লেখ করায় বিচারক এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। আদালতে যাদের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে তারা হলেনÑ শিক্ষিকা লুবনা ইয়াসমিন, গৃহিণী জেসমিন আক্তার, আইনজীবী চুমকি চৌধুরী, ডাঃ শাকিলা আক্তার, শাহিদা জাহান, ইয়াসমিন আক্তার, শাহানারা আক্তার, শবনব শারমিন, পুলিশের এসআই পারভীন, গৃহিণী ইশরাত জাহান, জান্নাতুল ফেরদৌস এবং গুলশান আক্তার। প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন ড্রেনে পাওয়া যায় নবজাতকটিকে। তিন বাড়িতে ডাকাতি স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোমবার গভীর রাতে আড়াইহাজারে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সোমবার রাত একটার দিকে খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া গ্রামের শরীফের বাড়িতে ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতদল বাড়ির দরজা ভেঙ্গে লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক লাখ টাকা, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। অপরদিকে একই এলাকার হাসিব মিয়ার ঘরের দরজা ভেঙ্গে লোকজনকে জিম্মি করে ৩০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট এবং তার ভাই নাসির মিয়ার ঘর থেকে তিন লাখ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, টর্চলাইট, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
×