ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে দুটি সেতুর কাজ শেষ হয়নি তেরো মাসেও

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৯ মার্চ ২০১৭

কক্সবাজারে দুটি সেতুর কাজ শেষ হয়নি তেরো মাসেও

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সরকারী নির্দেশনা মতে নয় মাস আগে শেষ হয়ে গেছে চকরিয়া হারবাং খালের ওপর ২টি সেতু নির্মাণ কাজের মেয়াদকাল। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, এক বছর পূর্বে গ্রাউন্ড লেবেলে শুরু করা কাজটি এখনও সেই শুরুই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। গত ১৩ মাস ধরে খোলা রয়েছে ২টি সেতু। এতে হারবাং খালের দু’পাড়ের ৮টি গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফেলাতির কারণে সেতু নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। জানা গেছে, কক্সজারের চকরিয়ার হারবাং একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এখানে হিন্দু ও মুসলমানদের পাশাপাশি রয়েছে রাখাইন সম্প্রদায়। সব মিলে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। রয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার, হাসপাতাল, ব্যাংক বীমাসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। রয়েছে বড় ২টি বাজার। এ এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কের ২টি সেতু নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। পরে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার এ ২টি সেতু নির্মাণের কাজ পায় আসলাম এ্যান্ড কোম্পানি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তথ্য মতে ঠিকাদারের সঙ্গে কাজের চুক্তি হয় গত বছরের ৯ মার্চ। কাজ শেষ করার সময় ছিল গত বছরের ১৬ জুলাই মাসে। কিন্তু ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান নানা কারণে কাজে বিলম্ব করে। ঠিকদারের দাবি হচ্ছে কয়েকবার নক্সা পরিবর্তনের কারণে যথা সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কাজের সমস্ত মালামাল স্টক রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা মোসলেহ উদ্দিন কবি বলেন, সেতু দুটি ভেঙ্গে ফেলার পর জনচলাচলের সুবিধার্থে বিকল্প কোন সেতু করেনি ঠিকাদার। পরে এলাকাবাসী নিজেদের অর্থে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেছে। সেতু নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার কারণে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছে না। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিন বাঁশের তৈরি সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে অনেক ভয় লাগে। চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, এখন খুব দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। যদি বৃষ্টি না হয় আগামী জুনের মধ্যে সেতু দুটি চলাচল উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মিটিং করেছি। কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×