ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই স্ত্রীর টানাপোড়েনে প্রভাষককে গণধোলাই

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৯ মার্চ ২০১৭

দুই স্ত্রীর টানাপোড়েনে প্রভাষককে গণধোলাই

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ দুই স্ত্রীর টানাপোড়েনে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়েছে ডিমলা উপজেলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক আহসান হাবীবকে। সোমবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রভাষককে আটক করে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সমাধান টেনে ওই প্রভাষক ছাড়া পায়। প্রভাষক উপজেলার ছাতনাই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, প্রভাবশালীরা ওই প্রভাষকের প্রথম স্ত্রীর ওপর প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সমাধান করলেও প্রথম স্ত্রীর হাতে মাত্র ৭৫ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধের সময় নিয়েছে। প্রথম স্ত্রীর পরিবার অসহায় বিধায় তারা এর প্রতিবাদ করতে পারছে না। তবে প্রথম স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি তার স্বামীকে চায়। এ ঘটনায় খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের গহরপুর বিএমআই কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ওই প্রভাষকের বিচার ও চাকরিচ্যুতের দাবি করেছে। এ দাবির প্রেক্ষিতে গহরপুর বিএমআই কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মেদ ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের মেয়েকে ২০১৩ সালে গহরপুর বিএমআই কলেজে পড়ার সময় ওই কলেজের প্রভাষক আহসান হাবীব প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। তারা দীর্ঘদিন নীলফামারী শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। এরপর ২০১৫ সালে ওই প্রভাষক মোবাইলে প্রেমের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে করে রাজশাহীর একটি মেয়েকে। ওই মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলেও প্রথম স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে প্রভাষক। এ অবস্থায় ঘটনার দিন সোমবার রাতে ওই প্রভাষক গোপনে প্রথম স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। সীতাকু-ে হুজুরের প্রহারে ছাত্র হাসপাতালে নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু- চট্টগ্রাম ২৮ মার্চ ॥ সীতাকু-ে হুজুরের বেদম প্রহারে আহত হয়ে ইফতেখার ইভান (৯) নামে এক ছাত্র হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মান্দারীটোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্র ইভান মান্দারীটোলা গ্রামের বাসিন্দা ইলিয়াছের পুত্র। জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাড়বকু-ের মান্দারীটোলা মাওলানা ওবায়দুল হক জামে মসজিদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ইমাম হাফেজ রাকিব উদ্দিন ছাত্র ইভানকে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করে। এতে ছাত্র ইভানের পুরো শরীরে ফুলা জখম হয়। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনে ছাত্রকে সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত ছাত্র ইভান বলেন, ‘গত দু’দিন মুক্তবে না যাওয়ার অপরাধে হুজুর বেত দিয়ে পিঠে, হাতে ও মাথায় বেধড়ক আঘাত করে। হুজুরের বেতের আঘাত সহ্য করতে না পেরে কান্না করলে হুজুর আরও জোরে জোরে বেত দিয়ে আঘাত করতে থাকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি এসব কথা বলে।’ এদিকে সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর সালাম বলেন, ‘শিশুটির শরীর ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে এবং সে দুইবার বমি করেছে। শিশুটির অবস্থা ভাল নয়, তাই তার পিতাকে চমেকে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে এ বিষয়ে হাফেজ রকিব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার পারিবারিক টেনশনের কারণে মাথা ঠিক ছিল না। তাছাড়া ছাত্রছাত্রী বেশি হওয়ায় কন্ট্রোল করাও সম্ভব হয়নি।
×