ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বোরো চাষ ব্যাহত

আমতলীতে ২০ খালে ১৪০ বাঁধ ॥ পানি নিষ্কাশন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৯ মার্চ ২০১৭

আমতলীতে ২০ খালে ১৪০ বাঁধ ॥ পানি নিষ্কাশন বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৮ মার্চ ॥ আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ২০টি খাল রয়েছে। ওই খালগুলোর ১৪০টি স্থানে বাঁধ দেয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। ফলে এ বছর ওই ইউনিয়নে বোরো চাষবাদ হয়নি। এ খালগুলোর বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে মানববন্ধন করেছে। জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে পাতাকাটা খাল, হুমার খাল, আছরদ্দির খাল, বরুখার খাল, কচাবুনিয়া খাল, বায়ের খাল, মিরার খাল, শিংরাবুনিয়া খাল, কলতলা খাল, উত্তর তারিকাটা খাল, পিটতলার খাল, দিঘির খাল, জিনবুনিয়া খাল, চরকগাচিয়া খাল, তাফাল বাড়ীয়া খাল, আমরাঝুড়ি খাল, জালের তবক খাল, কোশের খাল, ডাঙ্গার খাল, গাজীর খাল ও খোন্তাকাটা খাল। এ ২০টি খালকে কৃষি জমি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমতলী ভূমি অফিস থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছে। ২০০৯-১০ সালে ভূমি অফিস ওই খালগুলোতে ১৪০টি বন্দোবস্ত দিয়েছে। বন্দোবস্ত জমির মালিকরা এ খালগুলোতে ১৪০টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের জন্য ঘের করে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এ বছর ওই ইউনিয়নের কৃষকরা বোরো চাষ করতে পারেনি। এ খালগুলোর বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন ও বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে হাজার হাজার কৃষক মানববন্ধন করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জিএম জামাল উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেনÑ মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, জাকির হোসেন, হুমায়ুন কবির, জয়নাল আবেদীন, বক্তারা বলেন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ২০টি খালকে কৃষি জমি দেখিয়ে এক শ্রেণীর বিত্তবানরা আমতলী ভূমি অফিস ১৪০টি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছে। প্রভাবশালীরা খালগুলোতে বাঁধ দেয়াতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষক রবি ফসলসহ ধান চাষাবাদ করতে পারছে না। তাদের দাবি অবিলম্বে বন্দোবস্ত কেস বাতিল ও খালগুলোর বাঁধ কেটে অবমুক্ত করার জন্য ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জীবননগর সড়কে গণছিনতাই ॥ ছাত্রী অপহরণ পরে উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা, ২৮ মার্চ ॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কের আমতলা মাঠে গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে একদল ছিনতাইকারী এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। একই চক্র ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে একতারপুর গ্রামের ৪ বাড়িতে ডাকাতি করে। ডাকাতি শেষে তারা এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের দেহাটি পুলিশ বক্সের নিকট একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, রাত ৯টার দিকে ছিনতাইকারীচক্র মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে খয়েরহুদা গ্রামের লিপন, জমির হোসেন, রাশেদ ওরফে খোকা, সেন্টুসহ ২০ জনের নিকট থেকে মোবাইল সেট ও টাকা লুট করে। এরপর চক্রটি রাত ১২টার দিকে একতারপুর গ্রামের আয়ুব আলী, জিন্টু, সুজন ও রাশেদা খাতুনের বাড়িতে ডাকাতি করে। ডাকাতদল এসব বাড়ি থেকে ১৭ হাজার ৭৫০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতদল গ্রামের এক দিনমজুরের মাদ্রাসা পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
×