ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বিগ্ন ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা!

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৮ মার্চ ২০১৭

উদ্বিগ্ন ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে নির্মিত ‘হৃদয়ের রংধনু’ সেন্সর ছাড়পত্র না পাওয়ায় অনেকটাই উদ্বিগ্ন চলচ্চিত্রের পরিচালক রাজীবুল হোসেন। সেন্সর ছাড়পত্র না পাওয়ায় পরিচালক রাজীবুল হোসেন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে ‘হৃদয়ের রংধনু’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ চলচ্চিত্রের নব্বই শতাংশ কাজ দেখার পর বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর ট্যুরিজম পার্টনার হয়েছে। এতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ক্ষতি হবে এমন কোনো বিষয় নেই। প্রতিটি চলচ্চিত্র রিলিজ হওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এ চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র না পাওয়ায় আমি নিজে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি, তেমনি দর্শকও বঞ্চিত হচ্ছে। ‘হৃদয়ের রংধনু’ একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য এ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের মুল ভাবনা কায়েস চৌধুরী। এতে অভিনয় করছেন সারবিয়ান মডেল মিনা চেভটকোভিচ। সরকার এরইমধ্যে চলচ্চিত্রটির সেন্সর ফি মউকুফ করেছেন। নির্মাতা কাজ শেষ করে গত বছরের ডিসেম্বরে এটি সেন্সরে জমা দেন। তবে এখনও সেটি সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। জমা দেয়ার তিন মাস পরও ঠিক কি কারণে সেন্সরে আটকে আছে চলচ্চিত্রটি তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন নির্মাতা রাজীবুল হোসেন। এ প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ডের সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন বলেন, চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনকে ঘিরে। আমরা সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা দেখেছি যে, চলচ্চিত্রর কাহিনীতে বাংলাদেশ পর্যটনকে প্রমোট করার পরিবর্তে পর্যটন নিয়ে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। তাই চলচ্চিত্রটি ছাড়পত্র দেয়ার আগে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা এটি দেখেছেন, তবে কোনো রির্পোট তারা এখনও পাঠাননি। তারা চিঠির মাধ্যমে সেন্সরবোর্ডকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর আবারও চলচ্চিত্রের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। এদিকে পরিচালক বলেন, সেন্সর বোর্ড ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিকট আকুল আবেদন চলচ্চিত্রটি দ্রুত সেন্সর ছাড়পত্র দেয়া হোক। এ প্রসঙ্গে পর্যটন কর্পোরেশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিহা ফেরদৌসি বলেন, চলচ্চিত্রটি এরইমধ্যে আমাদের কমিটি দেখেছেন। আমরা কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত সেন্সরবোর্ডকে চিঠি মারফত জানিয়ে দেব। ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন শামস কাদির, মুহতাসিন সজন ও খিং সাই মং মারমা। ঢাকা, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও বান্দরবানসহ বাংলাদেশের মোট ৫৪টি জেলায় এ চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন হয়েছে। এতে মোট ছয়টি গান রয়েছে। সঙ্গীত পরিচালনা করছেন শাকিব চৌধুরী, ফারহান ও নীলকন্ঠ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছে এশিয়ান ইনিষ্টটিউট অব মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন বাংলাদেশ।
×