নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, ২৭ মার্চ ॥ রায়পুরে সালেহা বেগম নামে এক গৃহবধূকে (প্রথম স্ত্রী) কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী লোকমানের বিরুদ্ধে। সালেহার শরীরের ৩০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। তবে পুলিশ ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ নিজেই নিজের শরীরে আগুন দিয়েছে। উপজেলার উত্তর চর আবাবিল গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ গৃহবধূ বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দাহ্ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সালেহা একই গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার মেয়ে। সোমবার পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে সালেহার সঙ্গে চর আবাবিল গ্রামের লোকমান গাজীর বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ঢাকায় প্রায় ৮ বছর গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। প্রায় ৮ বছর প্রথম স্ত্রী সালেহাকে না জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে তালাক দিয়ে অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন লোকমান। এ নিয়ে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। সোমবার লোকমানের ঘরে সালেহার শরীরে অগ্নিদগ্ধের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ সালেহার বাবা আবদুল খালেক মোল্লা জানান, বিয়ের পর লোকমান ঢাকায় ব্যবসা করার কথা বলে দু’দফায় ৮০ হাজার টাকা যৌতুক নেয়। সম্প্রতি বাড়িতে এসে ঘর নির্মাণের কথা বলে লোকমান সালেহার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সালেহা তার জমানো ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিলেও বাকি টাকার জন্য লোকমান তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।
কালীগঞ্জে এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এক এসআই ও ৩ পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার কালীগঞ্জ থানার ওই চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- কালীগঞ্জ থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ, কনস্টেবল জিয়াউর রহমান, নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল। পুলিশ জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ ওই তিন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে স্থানীয় তুমলিয়া ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের খ্রীস্টান পল্লীর মিনা ক্রুসের বাড়িতে মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে যান। এসময় ওই বাড়ির লোকজন পুলিশ সদস্যদের আটক করে ডাকাত পড়েছে বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকাগুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশের ৬ সদস্য ও ৯ গ্রামবাসী আহত হয়। এ ঘটনায় পরদিন সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এসআই রাশেদ বাদী হয়ে ৩০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: