ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিশালে ইউপি মেম্বার হত্যারহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৮ মার্চ ২০১৭

ত্রিশালে ইউপি মেম্বার হত্যারহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ত্রিশাল উপজেলার চকরামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোনায়েম খান ওরফে মোনায়েম মেম্বার হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ভিজিডি কার্ড তৈরির কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ১১ দুর্বৃত্ত শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মোনায়েমকে। পরে বাড়ির পাশে ৩৫ ফুট উঁচুতে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে মোনায়েম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। পিবিআইএর তদন্তকালে একই এলাকার মোস্তাকিম (২২) ও জাফরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে ফাঁস হয় মোনায়েম মেম্বার হত্যাকা-ের আসল রহস্য। এর আগে ত্রিশাল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন মিয়া তদন্ত শেষে মোনায়েম আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছিল আদালতে! এই ঘটনায় ত্রিশাল থানা পুলিশ নিয়মিত কিংবা অপমৃত্যু মামলা না করে কেবল সাধারণ ডায়েরি করে ঘটনা ধামাচাপা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে মাত্র ছয় মাসের মাথায় পিবিআই এর তদন্তে এই হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটিত হওয়ায় বাদী ও তার পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পুলিশ জানায়, মোনায়েমের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা জামাত আলী বাদী হয়ে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ত্রিশালের চকরামপুরের তারা মিয়া ওরফে তারুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। আদালত ত্রিশাল থানা পুলিশকে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে ইউপি নির্বাচনে আসামিদের সঙ্গে মোনায়েমের বিরোধ এবং ধারদেনা নিয়ে হতাশা থেকে মোনায়েম গাছে উঠে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। এমনকি ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মোনায়েম ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে ডাঃ কাজী মোখলেছুর রহমান। মামলার বাদী ময়মনসিংহ আদালতে পুলিশের দেয়া ফাইনাল রিপোর্টের আপত্তি জানিয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন জানায়। আদালত আপত্তি আমলে নিয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশকে মামলাটি রেকর্ডসহ পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয় চলতি সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ত্রিশাল থানা পুলিশ ফের এসআই লিটন মিয়াকে এই মামলার তদন্তভার দিলে বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালতে।
×