ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মীরসরাইয়ে শহীদ মিনারের স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলেছে চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ মার্চ ২০১৭

মীরসরাইয়ে শহীদ  মিনারের স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলেছে চেয়ারম্যান

সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে নির্মিত শহীদ মিনারের স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুল কাদের চৌধুরীর দায়িত্বকালে নির্মিত হয় শহীদ মিনার। বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের নির্দেশে এই স্মৃতি ফলক ভাঙ্গা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক চেয়ারম্যান শাহিনুল কাদের চৌধুরী। স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে এডিপির ফান্ড থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মঘাদিয়া ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের সীমানার মধ্যে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান শাহিনুল কাদের চৌধুরী ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনার উদ্বোধন করে শহীদ মিনারের পাশেই স্মৃতি ফলক স্থাপন করেন। স্মৃতি ফলকে লিখা ছিল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ’। গত ২৭ মার্চ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের পাশেই স্মৃতি ফলকটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আর পাশেই পড়ে আছে ভাঙ্গাচোরা অংশ বিশেষ। শাহিনুল কাদের চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তিনি এ ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যানকে দায়ী করে বলেন, এটি তার নোংরা রাজনীতির প্রতিফলন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মীরসরাই উপজেলা কমান্ডার কবির আহমদ বলেন, স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলা সম্পর্কে আমি শুনিনি। তবে এই কাজ যারাই করে থাকুক তা অত্যন্ত নিন্দনীয় । মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী বেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্মৃতি ফলক ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি আমি শুনেছি। কে বা করা এটা করেছে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। আমরা মু্িক্তযোদ্ধার সন্তান উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি আঘাত দেশদ্রোহিতার শামিল। স্বাধীনতার মাসে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। তাই নাম ফলক রিমুভ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা আবার লাগিয়ে দেয়া হবে। সাবেক চেয়ারম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা পরায়ন হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন বলেন, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×