ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আতিয়া মহলে থাকতে পারে জঙ্গী মূসা

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ২৭ মার্চ ২০১৭

আতিয়া মহলে থাকতে পারে জঙ্গী মূসা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটের শিববাড়িতে জঙ্গী আস্তানা আতিয়া মহলে জেএমবির দুর্ধর্ষ জঙ্গী মূসা অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। মাইনুল ইসলাম ওরফে জঙ্গী মূসা রাজশাহীর তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় ২০০৪ সালে জেএমবির সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইয়ের আমলে জেএমবিতে যোগ দেয়। তার বাড়ি বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের বজকোলা গ্রামে। এইচএসসি পাসের পর রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয় সে। এরপর ভর্তি হয় ঢাকা কলেজে। ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স সম্পন্ন করার পর উত্তরার লাইফ স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। এরই মধ্যে বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে তৃষামনিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ছয়তলা বাড়িতে ওঠেন। এই বাড়িতেই সপরিবারে ভাড়া থাকতেন মেজর জাহিদ। মূসা মেজর জাহিদের মেয়েকে পড়াতেন। মূসার মা সুফিয়া বেগম জানান, মেজর জাহিদ, জেএমবির আরেক নেতা তানভীর কাদিরসহ অনেক নেতাকে নিয়ে বাসার ছাদে মিটিং করত। ওই মিটিংয়ে মূসা অংশ নিয়েই জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ে। গত আট মাস আগে সে গ্রামের বাড়িতে আসে। ওই সময় সৌদি আরব যাবে বলে তিন লাখ টাকার জমি বিক্রি করে বাড়ি থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় বাড়িতে থাকা তার ছবিসহ বেশ কিছু কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে। তিনি বলেন, আমার ছেলের ঘটনায় লজ্জিত আমি। এক সময় আমার ছেলে ভাল ছাত্র ছিল। আমার ছেলের মতো আর কোন ছেলে যেন জঙ্গীবাদে জড়িয়ে না পড়ে। মূসার দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বাবা বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে অপরিচিত এক নম্বর থেকে তার মোবাইল ফোনে মিসড কল আসে। পরে আমি ওই নম্বরে ফোন করি। তখন আমার মেয়ে বলে ‘বাবা আমি’। আমার মেয়ে জানায়, ‘আমার বিপদ, পুলিশ আমাদের বাসা ঘিরে ফেলেছে।’ তখন আমি তাকে বলি তুমি পুলিশের কাছে যাও। এরপর আর কোন কথা হয়নি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, মূসা নব্য জেএমবির একজন অন্যতম সমন্বয়ক। তাকে পুলিশ খুঁজছে।
×