ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডি ককের ব্যাটে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৭ মার্চ ২০১৭

ডি ককের ব্যাটে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিনে ছিল বৃষ্টি ও বোলারদের দাপট। তবে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট-বলের লড়াই দারুণ জমে ওঠে। ৪ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানে অলআউট হয়েছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পেসারদের স্বর্গ হয়ে ওঠা সেডন পার্কে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের রূপকার কুইন্টন ডি’কক। ৯০ রান করে আউট হয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান। জবাবে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও হয়েছে দারুণ। কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। টম লাথাম ৪২ ও জিত রাভাল ২৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। জমে উঠলেও পঞ্চম দিনের বৃষ্টিতে ডুনেডিনের প্রথম টেস্ট ড্র হয়। আর ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে উইকেটের আদ্রতার পূর্ণ ব্যবহার করে প্রোটিয়াদের বেশ চাপেই রেখেছিল নিউজিল্যান্ড পেসাররা। তবে দ্বিতীয় দিনে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে ফ্যাফ ডুপ্লেসিস দিনের খেলা শুরু করেন। ৩৩ রান নিয়ে নামা অধিনায়ক ডুপ্লেসিস অবশ্য ৫৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে প্রোটিয়াদের পাল্টা আক্রমণে মূল নেতৃত্বটা দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। দুর্ভাগ্য ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননিÑ ৯০ রানে আউট হয়ে সিরিজে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে আউট হওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন। তবে ১১৮ বলে ১১ চারে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ৯০ রান করে ডি কক দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস তিন শ’ পার করিয়ে দিয়েছেন তিনিই। পঞ্চম উইকেটে ডুপ্লেসিস-বাভুমার জুটিটি ছিল ৫১ রানের। বাভুমা ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। এরপর ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম উইকেটে ডি কক যথাক্রমে ডুপ্লেসিস, ভারনন ফিল্যান্ডার, কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৫১, ৪২, ২৯ ও ৩০ রান। মহারাজ ও মরনে মরকেল দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারলেও দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন কাগিসো রাবাদা। মাত্র ৩১ বলে ৩৪ করে কিউইদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। ম্যাট হেনরি ৯৩ রানে নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন নেইল ওয়াগনার। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আর মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন যথাক্রমে ২ ও ১ উইকেট। হ্যামিল্টনেও যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায়, আর ওদিকে ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া ভারতের কাছে হারে তাহলে র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবেন প্রেটিয়ারা। সেই সঙ্গে ডুপ্লেসিসদের নিশ্চিত হবে আইসিসির দেয়া ৫ লাখ ডলার অর্থ পুরস্কার। জিতবে মৌসুমে টানা চারটি সিরিজ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই ধাক্কা খায় কিউইরা। টিম সাউদি আগে থেকেই নেই, ইনজুরির জন্য শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান অপর তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্টও। একই কারণে নেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলরও। অবশ্য হেনরি, ওয়াগনার ও গ্র্যান্ডহোম দারুণ বল করে সাউদি-বোল্টের অভাব বুঝতে দেননি। স্কোর ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস ৩১৪/১০ (৮৯.২ ওভার; এলগার ৫, ব্রুইন ০, আমলা ৫০, ডুমিনি ২০, ডুপ্লেসিস ৫৩, বাভুমা ২৯, ডি কক ৯০, ফিল্যান্ডার ১১, মহারাজ ৯, রাবাদা ৩৪, মরনে মরকেল ৯*; হেনরি ৪/৯৩, গ্র্যান্ডহোম ২/৬২, ওয়াগনার ৩/১০৪, স্যান্টনার ১/২৪) নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৬৭/০ (২৫.৩ ওভার; লাথাম ৪২, রাভাল ২৫; রাবাদা ০/২৫, মহারাজ ০/১৪)। ** দ্বিতীয় দিন শেষে
×