ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

বাড়ানো সম্ভব আয়ুষ্কাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৭ মার্চ ২০১৭

বাড়ানো সম্ভব আয়ুষ্কাল

গুণীজনদের দীর্ঘ নিরীক্ষায় পর্যালোচিত উক্তি ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।’ জীবনের প্রতি বাঁকে এর সত্যতা মেলে। এর প্রেক্ষিতে মানুষ নির্ঝঞ্ছাট সুখী জীবনযাপনের লক্ষ্যে সুস্থতা কামনা করে আসছে। পালন করে আসছে নানা জীবন সূত্র। সুস্থ নীরোগ শরীরের আরও কিছু আশাব্যঞ্জক কথা শুনিয়েছেন একদল গবেষক। তাদের মতে, ব্যায়াম চর্চার পাশাপাশি মদপান থেকে বিরত থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল ও শাক-সবজি খাওয়া এবং ধূমপান না করলে ১৪ বছর পর্যন্ত আয়ুষ্কাল বাড়ানো সম্ভব। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের একদল গবেষক ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ১৩ বছর মোট ২০ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালান। ৪৫ থেকে ৭৯ বছর বয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে কেউই ক্যান্সার বা হার্ট সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত ছিলেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা উল্লেখিত চারটি শর্ত পূরণ করেছেন তাদের চেয়ে জীবনে বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছেন তারা যারা শর্ত পূরণে অসমর্থ ছিলেন। ব্রিটিশ পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স মেডিসিন বিভাগের অপর এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ধূমপান না করা, মদপান থেকে বিরত থাকা, সুষম খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল, শাক-সবজি খেলে এবং কর্মচাঞ্চল্য থাকলে আয়ুষ্কাল বাড়ানো সম্ভব। গবেষকদের মতে উক্ত চারটি শর্ত পূরণ না করলে যে ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সে মারা যান তিনি শর্ত পূরণসাপেক্ষে ১৪ বছর আয়ুষ্কাল বেশি পেতে পারতেন। গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর কাইতি খাউ বলেন, আমরা জানতাম ব্যায়াম চর্চা করলে এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকলে দীর্ঘ জীবনের ওপর এর কার্যকর প্রভাব পড়ে কিন্তু এই প্রথম দেখা গেল আরও দুটি বিষয় অর্থাৎ মদপান না করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল ও শাক-সবজি খাওয়াও দীর্ঘ জীবনের নেপথ্য কারণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত চারটি শর্ত পূরণে সমর্থ ব্যক্তিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম। স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারণায় কর্মরত কর্মীরা উল্লিখিত গবেষণা কর্মকে স্বাগত জানিয়েছেন। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যকর্মী জুডি ওসুলিভানের ভাষায়, এটা একটা সুসংবাদ যে, সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে হার্ট ও আনুষঙ্গিক রোগব্যাধিজনিত মৃত্যুঝুঁকি মানুষ কমিয়ে আনতে পারে। তিনি বলেন, ধূমপান থেকে বিরত থাকা, মদপান না করা, নিয়মিত ব্যায়ামচর্চা এবং সুশম খাদ্য খেয়ে মানুষ জীবনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, নিজের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। সে দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে প্রত্যেকেই সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করে দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারেন।
×