ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বারুণী স্নানে রামগড় সীমান্তে দু’দেশের মানুষের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৭ মার্চ ২০১৭

বারুণী স্নানে রামগড় সীমান্তে দু’দেশের মানুষের মিলনমেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম, ২৬ মার্চ ॥ হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ মন্দাকিনীতে এবং ফটিকছড়ি উপজেলা সীমান্ত এলাকার রামগড়ে বারুণী স্নান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ত্রয়োদশ তিথিতে এ বারুণী স্নান করে থাকে। যত পাপ-তাপ মুছে ফেলার মানসে এ বারুণী স্নান সম্পন্ন করে। প্রতি বছরের ন্যায় রবিবার উল্লিখিত দুটি স্থান পরিণত হয় মিলনমেলার। এ বারুণী স্নান উপলক্ষে লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, এ বারুণী স্নানকে কেন্দ্র করে ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবির সমন্বিত উদ্যোগে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা অবধি রামগড় সীমান্ত খুলে দেয়া হয়। সীমান্ত খুলে দেয়ার কারণে ভারত এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়। দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় অপূর্ব এক মিলনমেলার। অপরদিকে, হাজারো বাংলাদেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুমে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সীমান্ত খুলে দেয়ায় রামগড়ে ফেনী নদীর দু’তীরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতা ছিল বেশি। গোপালগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা গোপালগঞ্জ থেকে জানান, লাখো পুণ্যার্থীর পুণ্য-স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হল হিন্দু সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক পুরুষ পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৬তম জন্মোৎসব। এ উপলক্ষে রবিবার ব্রহ্মমুহূর্ত থেকে দুপুর পর্যন্ত তাঁর লীলাভূমি হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান গোপালগঞ্জের শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে অনুষ্ঠিত হয় মহা-বারুণীর পুণ্য-¯œান। হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরি শ্রীধাম ওড়াকান্দির গদিনাসীন ঠাকুর মতুয়াচার্য পদ্মনাভ ঠাকুর প্রথমে ‘কামনা সাগর’ ও পরে ‘শান্তি-সাগর’ নামে দুটি পুকুরে ¯œান করে এ ¯œানোৎসবে সূচনা করেন।
×